ইরানের সঙ্গে নৌ-মহড়ায় যোগ দিচ্ছে চীন ও রাশিয়া
ইরানের সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে চীন ও রাশিয়া। চলতি সপ্তাহে এ মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ এজেন্সি। রাশিয়া, চীন, ইরানের নৌবাহিনী এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ, কমব্যাট ভেসেল ও লজিস্টিক জাহাজ মহড়ায় অংশ নেবে।
খবরে বলা হয়েছে, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ এই মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে দেশগুলো। এই মহড়ার মূল লক্ষ্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করা, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সক্ষমতা প্রদর্শন করা।
যৌথ মহড়ায় আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে পারস্পরিক তথ্য বিনিময় এবং অপারেশনাল ও কৌশলগত অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা হবে। একইসঙ্গে এটি সমুদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং একটি অভিন্ন সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পশ্চিমা আধিপত্য মোকাবিলার অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা রয়েছে ওই তিন দেশের। গত কয়েক বছর ধরে ওই অঞ্চলে একই ধরনের মহড়া চালিয়ে আসছে তারা। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি বলেছে, ইরানের চাবাহার বন্দরে আগামী মঙ্গলবার থেকে ইরান, রাশিয়া ও চীনের নৌবাহিনীর সামরিক মহড়া শুরু হবে।
ইরানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় ওমান উপসাগরের কাছে অবস্থিত চাবাহার বন্দরে ওই মহড়া শুরু হলেও শেষ হবে কবে, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য জানায়নি তাসনিম নিউজ এজেন্সি।
চাবাহার বন্দর সংলগ্ন উত্তর ভারত মহাসাগরের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে এই মহড়ার আয়োজন বৈশ্বিক শক্তিগুলোর সামুদ্রিক উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের এই সহযোগিতা মূলত পশ্চিমা সামরিক প্রভাবের মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রচেষ্টার অংশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মহড়া শুধু কৌশলগত মহড়া নয় বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী বার্তাও বহন করে।