ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ফিলিস্তিনের গাজায় যে নৃশংসতা চালাচ্ছে তা মানবতার বিরুদ্ধে এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ ছাড়া কিছুই নয় বলেন, মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারা।
বুধবার (১৯ মার্চ) সংগঠনের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গত দুই দিন ধরে ইসরায়েল গাজার নিরীহ জনগণের ওপর যে বর্বর হামলা চালাচ্ছে, তা শুধু অমানবিক নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে এক জঘন্য অপরাধ। নির্বিচারে বোমাবর্ষণ, হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া, এসবই গণহত্যার সুস্পষ্ট প্রমাণ। এক্ষেত্রে বিশ্ব-মোড়ল আমেরিকার ভূমিকা আরও ন্যক্কারজনক। এরা গাজা সমস্যা সমাধানের নামে ইসরাইলি নেকড়েদের গাজার নিরস্ত্র মুসলমানদের উপর লেলিয়ে দিয়েছে। তাদের হিংস্র থাবা থেকে নিষ্পাপ শিশু, অবলা নারী আর বয়োবৃদ্ধ কেউই নিরাপদ নয়।
ক্ষোভ জানিয়ে এই দুই নেতা বলেন, বিশ্ববাসী যখন ন্যায়বিচারের জন্য সোচ্চার, তখন ইসরায়েলের এই রক্তপাতের বিরুদ্ধে মুসলিম-বিশ্বের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারা, শুধুই অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। শিশু, নারী ও বেসামরিক মানুষদের হত্যা কোনোভাবেই আত্মরক্ষা হতে পারে না; বরং এটি যুদ্ধাপরাধ। এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়। ইসরাইল ও তার দোসর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
তারা আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীল জন্য অবৈধ দখলদার জায়নবাদি ইহুদিদের পবিত্র আক্বসা-ভূমি থেকে উৎখাত করে আলাস্কা অঞ্চলে পুনর্বাসন করা দরকার। মানুষের সমাজে বসবাসের কোনো শিক্ষা ইসরায়েল নেকড়েদের কখনোই ছিল না। এরা মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার প্রক্সি বটে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর, অবরোধ প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি। মজলুম গাজাবাসীর পক্ষে দাঁড়ানো এখন বিবেক ও সময়ের দাবি। যারা নীরব, তারা এই হত্যাযজ্ঞের অংশীদার। নেতৃদ্বয় গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের বিবৃতি ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়ে দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।