টাকা না পেয়ে এক সিএনজিচালককে ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে সমালোচিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক একেএম দিদারুল আলমকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বা স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও পরিকল্পনা) মো. আবদুল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিক এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কে এম দিদারুল আলম (পরিচিতি নং-২২০০৫), সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, কক্সবাজারকে বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুরে সংযুক্ত করা হলো। দিদারুল আলম বর্তমান কর্মস্থল হতে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন এবং আগামী ১৮ মার্চ, ২০২৫ তারিখের মধ্যে সংযুক্তকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ দৈনিক কালবেলায় ‘টাকা না পেয়ে অটোচালককে বানানো হয় ইয়াবা কারবারি’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজারের প্রবেশমুখ লিংক রোড সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে গত ৯ মার্চ সকাল ১০টার দিকে বজল করিম নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালককে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কক্সবাজার শাখা। সে সময় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা কয়েক ধাপে তার অটোরিকশায় তল্লাশি চালালেও কিছুই পাননি।
এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনাস্থল থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ঝাউতলা গাড়ির মাঠে। সেখানে গিয়ে বজল করিমের স্ত্রীকে ডেকে দাবি করা হয় ৫ লাখ টাকা। অন্তত ৫ ঘণ্টা ধরে দরকষাকষি চললেও বজলের স্ত্রী টাকা দিতে না পারায় বিকেল ৩টার দিকে ১ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে তা প্রকাশ করা হয়। একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, আটকের সময়, মামলার এজাহার ও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে কালবেলা। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বজলের স্ত্রীর কাছে টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে বজলকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।