ঈদের ছুটিতে বাসার সর্বস্ব লুট, দুই চোর রিমান্ডে

3 months ago 9
ঈদের ছুটিতে বাসার মালিক গ্রামে যাওয়ায় দরজা ভেঙে সোনার অলংকারসহ চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে পেশাদার একটি চোর চক্র। এ ঘটনায় চক্রটির গ্রেপ্তার দুই চোরের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. আপন হোসেন ও মো. ইয়াছিন হোসেন শিপন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আলী আশরাফ জুয়েল তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী পেশায় একজন গৃহিণী। গেন্ডারিয়া থানাধীন দ্বীননাথ সেন রোডস্থ তার একটি নিজস্ব ৫ম তলা ভবন রয়েছে। তিনি ওই ভবনের ৩য় তলার বসবাস করে। গত ৬ জুন বিকেলে তার বাসার দরজায় তালা লাগিয়ে স্ব-পরিবারে গ্রামে বাড়ি শরীয়তপুরে ঈদ উদযাপন করার জন্য যান। গত ৯ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে গ্রামে বাড়িতে ঈদ উদযাপন শেষে বাসায় ফেরেন। তখন তিনি বাসার মেইন দরজা ভাঙা দেখতে পান। ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো ও আলমারি খোলা। তখন তিনি দেখেন তাদের বাসায় থাকা এইচপি কোরআই-৫ ল্যাপটপ, হাতঘড়ি, নগদ টাকা, সোনার দুল তিন জোড়া, দুটি সোনার আংটি, জি-সনি ৪৩ ইঞ্চি টিভি চুরি হয়ে গেছে। যার সর্বমোট চোরাই মূল্য চার লাখ ৩৩ হাজার ৬২৫ টাকা। পরে বিষয়টি বাসার অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বাসার আশপাশের সিসি ক্যামেরা যাচাই করে দেখেন, ৮ জুন রাত ৩টা ৫২ মিনিট থেকে ৩টা ৫৪ মিনিটে আসামিরা টিভিসহ বের হয়ে যাচ্ছেন। পরে আসামি আপন হোসেন ও ইয়াছিন হোসেনকে শনাক্ত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় তাদের আটকের চেষ্টা করা হয়। তবে তারা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনগণ ৯ জুন রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের আটক করে। পরে থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। 
Read Entire Article