উত্তাল সাগর, উপকূলে উঠে গেল বিশাল জাহাজ

2 months ago 8

ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে প্রবল জোয়ারের তোড়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূল গহিরা বঙ্গোপসাগরের চরে উঠে গেল কয়লাবাহী এক বিশাল জাহাজ। ‘নাভিমার-৩’ ও ‘মারমেইড-৩’ নামের একটি কার্গো ও লাইটার জাহাজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝির ঘাট এলাকায় ওই জাহাজটি ওঠে যায়।

শুক্রবার (৩০ মে) বেলা ১১টার দিকে কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশনের সদস্যরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজটি দেখতে সকাল থেকে উৎসুক জনতার ভিড় জমে।

জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল। বয়ে যাচ্ছে ঝড় বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাস।

স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সাগরে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। রাতে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। একইসঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাতে কয়লাবাহী কার্গো জাহাজটি উঠান মাঝির ঘাট এলাকায় মসজিদ সংলগ্ন চরে উঠে যায়। ওইসময় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে শুক্রবার সকালে সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। তবে উপকূলে উঠে আসা এ কার্গো জাহাজে কোনো মালামাল ছিল না।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গেলে জাহাজটির ওয়াচম্যান মিসকাতুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা খালাস করে ফিরে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ি। পরে সমুদ্রের জোয়ারের প্রভাবে উপকূলের চরে আটকে পড়ে।’

তিনি বলেন, তাদের জাহাজটি দুবাই মালিকানাধীন এক কোম্পানির, তারা কয়লা নিয়ে বাঁশখালী গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যায়।

উঠান মাঝির ঘাট জামে মসজিদের খতিব রেজাউল করিম ফারুকী বলেন, ‘রাত ২টার সময় জাহাজটি আটকে পড়ে। এটি সরিয়ে না নিলে ঢেউয়ের আঘাত মসজিদ ও কবরস্থানে লাগতে পারে।’

জানতে চাইলে কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশনের সিসি অনিমেষ রায় বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেই এবং জাহাজের নিরাপত্তার দায়িত্ব বোঝে নেই।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি এমন থাকতে পারে।’

Read Entire Article