অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মাত্রাতিরিক্ত সুশীলগিরি মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজশাহী নগরীর মাদরাসা মাঠে খেলাফত মজলিশ রাজশাহী জেলা শাখা আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিতর্কিত উপদেষ্টাদের স্পষ্টভাবে বলছি, মাত্রাতিরিক্ত সুশীলগিরি করবেন না। মব জাস্টিসের কথা আমাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন না। আমরা ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজপথে রক্ত ঢেলেছি।
ওপেন চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করে তিনি বলেন, যদি আমাদেরকে করুণার পাত্র মনে করেন তাহলে ওপেন চ্যালেঞ্জ, আসুন আমাদের মোকাবিলা করেন। আমাদের মোকাবিলা করা এতো সহজ হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলি এদেশে ইসলাম নিয়ে বাঁচবো। ইসলামের ঝান্ডা উঁচু করেই বাঁচবো। আমাদেরকে যদি ঘায়েল করার চেষ্টা করেন, মনে রাখবেন এদেশে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করি না। রক্তের বিনিময়ে কেনা এই জমিনে আমরা মালিকানার অধিকার নিয়ে বসবাস করি।
তসলিমা নাসরিন ও শেখ হাসিনার গোড়াপত্তন একই জায়গায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তসলিমা নাসরিন যৌথ প্রযোজনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাদের এদেশের দোসরা তসলিমা নাসরিনের নামে শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে সেটা রুখে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ৭১ এর চেতনা ছিল মুক্তির চেতনা, ৭২ এর চেতনা ছিল গোলামির চেতনা। শেখ হাসিনার রাজনীতির মূলনীতি ছিল বিভাজন, ধ্বংসাত্মক ও গোলামি। বাংলাদেশে আবারো রাজনীতি করতে চাইলে আওয়ামী লীগকে দলের নাম বদলে মাফ চেয়ে রাজনীতি করতে হবে।
২৪এর জুলাই বিপ্লব ছিনতাই করার চেষ্টা চলছে বলেও দাবি করে তিনি বলেন, বুকের রক্ত ঢেলে তার প্রতিবাদ করা হবে। ছাত্র জনতা বুকের রক্ত ঢেলে প্রতিবাদ করেছে।
সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহম্মদ, রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক মুফতি মুহাম্মদ আবুল বাশার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ইশা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী জেলার আমির অধ্যাপক আব্দুল খালেক, ইসলামী ঐক্যজোট রাজশাহীর সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বাবুসহ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয়, রাজশাহী বিভাগ, মহানগর ও জেলার শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/এএসএম