শরীর সুস্থ রাখতে কিংবা বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। অনেকেই নিয়মিত জিমে যান, কেউ আবার বাসায় বসেই শরীরচর্চা করেন। আবার কেউ কেউ ওজন কমানোর জন্য খাদ্যতালিকা বদলান, ব্যয়বহুল ডায়েট প্ল্যান মেনে চলেন কিংবা নানা ধরনের সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন। কিন্তু এত চেষ্টা-সাধনার পরও দেখা যায়, শরীরের বাড়তি চর্বি একচুলও কমছে না; বরং আগের মতোই রয়ে যাচ্ছে। এতে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন এবং মনে করেন তাদের ব্যায়াম বা ডায়েট হয়তো কাজে আসছে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আসল সমস্যাটা ব্যায়ামে নয়—বরং কিছু অভ্যাসগত ভুলেই লুকিয়ে থাকে রহস্য। বিশেষ করে বয়স যদি ৩৫-এর বেশি হয় এবং সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টার বেশি কাজের চাপ থাকে, তবে কোমরের চারপাশে একগুঁয়ে চর্বি জমে যায়। যা শুধু খাবারের জন্য নয়; বরং হরমোন, জীবনযাপন ও লুকানো ক্যালরির কারণেও হয়ে থাকে।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, ফিটনেস কোচ লার্স মিডেলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করেছেন, যেগুলোর জন্য শত চেষ্টা করেও ওজন কমানো সম্ভব হয় না।
১. স্ন্যাকস খাওয়ার অভ্যাস
অনেকে মনে করেন শুকনো ফল, সালাদ, স্যান্ডউইচ কিংবা বাইরে খাওয়ার খাবার স্বাস্থ্যসম্মত। কিন্তু বাস্তবে এসব খাবারেই লুকিয়ে থাকতে পারে ৩ হাজার ক্যালরি! ফলে যত ব্যায়ামই করা হোক, বাড়তি ক্যালরি শরীরে জমতে থাকে। তাই অপ্রয়োজনীয় স্ন্যাকিং এড়িয়ে চলতে হবে।
২. রাতে অ্যালকোহল পান
গবেষণায় দেখা গেছে, গভীর রাতে অ্যালকোহল পান করলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। সন্ধ্যা ৬টার পর অ্যালকোহল গ্রহণ শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীর করে দেয়। এর ফলে শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণই কঠিন হয় না, ঘুমের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই ফিট থাকতে চাইলে অ্যালকোহলকে সম্পূর্ণভাবে ‘না’ বলতে হবে।
৩. লুকানো ক্যালরি
অনেক সময় আমরা যেসব খাবারকে নির্দোষ ভাবি, সেগুলোতেই লুকিয়ে থাকে বাড়তি ক্যালরি। যেমন সালাদের ড্রেসিং, তেলে ভাজা খাবার কিংবা লবণ দেওয়া কাজুবাদাম। নিয়মিত এসব খেলে শরীরে বাড়তি ক্যালরি জমে যায়। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই ভেবেচিন্তে খাবার বাছাই করতে হবে।