এক রাতেই দূর হবে ব্রণ

আগামীকাল হয়তো কোনো প্রেজেন্টেশন, সাক্ষাৎকার বা প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। কিন্তু তার আগের দিনই মুখে হঠাৎ করে ব্রণ উঠে গেল। তখন মনে হয় এটা এখন কেন? মনেই খারাপ হয়ে যায়।
ব্রণ শুধু ত্বকের সমস্যা নয়, এটা মুহূর্তেই আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দিতে পারে। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, এক রাতেই ব্রণের হাত থেকে মুক্তির উপায় আছে। ঘরোয়া কিছু সহজ টিপসেই সম্ভব ব্রণকে দূর করা।

আসুন জেনে নেওয়া যাক এক রাতে ব্রণ যেভাবে দূর করতে পারেন-

১. বরফের ঠান্ডা ছোঁয়া

জেদি ব্রণকে এক রাতের মধ্যে গায়েব করে দিতে বরফ দারুণ উপযোগী। বরফের ঠান্ডা ছোঁয়া ত্বকের প্রদাহ ও লালভাব কমিয়ে ফেলে। এটি রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে এবং ব্রণ দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। ব্রণের জায়গায়২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত চার-পাঁচবার বরফের শেক দিন। প্রতিবারই ৫-১০ মিনিট করে রাখুন। এতেই দেখবেন ছোট ব্রণ গায়েব হয়ে যাবে। বড় ব্রণ হলে তার আকার ছোট হয়ে যাবে।

২. স্পট ক্রিমের জাদু

বাজারে এখন নানা ধরনের ‘স্পট ক্রিম’ পাওয়া যায়, যা ব্রণ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এই ক্রিমগুলোর মূল উপাদান হিসেবে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বেনজয়েল পারঅক্সাইড। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড মৃত চামড়া দূর করে, ত্বকের গভীরে জমে থাকা ময়লা ও অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়। অন্যদিকে বেনজয়েল পারঅক্সাইড জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে, যা নতুন ব্রণ হতে বাধা দেয়।
তবে এসব ক্রিম ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন বুঝে নেওয়া জরুরি। এছাড়া বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৩. মধু ও অ্যালোভেরার পেস্ট

যাদের বাজারের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্টে অ্যালার্জি আছে, তারা ভরসা রাখতে পারেন মধু ও অ্যালোভেরা উপরে। এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানেই আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। ১ চা চামচ অ্যালোভেরার জেলের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি দিনে ৩ বার ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিন। এতে করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্রণের লালভাব ও ফোলাভাব অনেকটাই কমে আসবে। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হবে পরিষ্কার, কোমল ও উজ্জ্বল।

৪. টি ট্রি অয়েলের ব্যবহার

ত্বক পরিচর্যার জগতে অত্যন্ত কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান হলো টি ট্রি অয়েল। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা ব্রণ কমাতে কাজ করে। দিনে কয়েকবার ব্রণের জায়গায় সামান্য টি ট্রি অয়েল লাগালে ব্রণের ফোলাভাব ও লালভাব অনেকটাই কমে যাবে। বিশেষ করে যাদের তৈলাক্ত ত্বক এবং সেই কারণে ঘন ঘন ব্রণ ওঠে, তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।

৫. অ্যাসপিরিনের পেস্ট

ব্যথা, জ্বর বা প্রদাহ কমাতে কার্যকর অ্যাসপিরিন, যা অনেকের ওষুধের বাক্সের কোণায় সহজেই পাওয়া যায়। এতে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, যা ব্রণ শুকাতে ও মৃত চামড়া দূর করতে সাহায্য করে। দুটি অ্যাসপিরিন গুঁড়া করে এক বা দুই ফোঁটা পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর ব্রণের ওপর লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট রাখুন। এতে দেখবেন ব্রণের উপরের তেল ও মৃত চামড়া উঠে এসেছে, ফোলাভাব কমেছে। তবে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তারা অবশ্যই ত্বকে প্রয়োগের আগে ছোট একটা জায়গায় পরীক্ষা করে নেবেন।

সূত্র: হেলথলাইন, মেডিকেল নিউজ টুডে, বি বিউটিফুল ইন্ডিয়া, টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন
সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে কী হয় জানেন? 
ত্বকের উজ্জ্বলতায় ডিমের জাদুকরী ভূমিকা 

এসএকেওয়াই/জিকেএস