এখন সময় এসেছে ইসলামের বাংলাদেশ দেখার: মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘সোনার বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ- সব দেখা শেষ। এখন সময় এসেছে ইসলামের বাংলাদেশ দেখার।’ শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ওয়া দারুল ইয়াতামায় (ফিরোজশাহ বড় মাদ্রাসা) ইসলামি মহাসম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মামুনুল হক দাবি করেন, গণভোটে যারা না ভোট দেবেন তারা ফ্যাসিবাদের দোসর। তার আরও দাবি, জুলাই জাতীয় সনদ হলো শাপলা চত্বরের নবীপ্রেমিকদের সনদ। একে তিনি দিল্লিকে উৎখাত করার সনদ হিসেবেও বর্ণনা করেন। খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের ঘটনায় অভিযানের পর তৎকালীন সরকারের এক নারী সংসদ সদস্য নিহতদের বিষয়টি নিয়ে উপহাস করেছিলেন। ওই সময় শাপলা চত্বরে রক্তপাত হলেও সেটিকে ‘রঙ মিশিয়ে শুয়ে ছিল’ বলে মন্তব্য করা হয়েছিল। মামুনুল হক তার বক্তব্যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের প্রতিকূলতা ও সাহাবিদের পরীক্ষার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘নবীজি কখনো বাধার সামনে মাথানত করেননি। সাহাবিরাও কঠিন পরীক্ষার মুখে পিছপা হননি। সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নবীজি সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে উদ

এখন সময় এসেছে ইসলামের বাংলাদেশ দেখার: মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘সোনার বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ- সব দেখা শেষ। এখন সময় এসেছে ইসলামের বাংলাদেশ দেখার।’

শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ওয়া দারুল ইয়াতামায় (ফিরোজশাহ বড় মাদ্রাসা) ইসলামি মহাসম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক দাবি করেন, গণভোটে যারা না ভোট দেবেন তারা ফ্যাসিবাদের দোসর। তার আরও দাবি, জুলাই জাতীয় সনদ হলো শাপলা চত্বরের নবীপ্রেমিকদের সনদ। একে তিনি দিল্লিকে উৎখাত করার সনদ হিসেবেও বর্ণনা করেন।

খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের ঘটনায় অভিযানের পর তৎকালীন সরকারের এক নারী সংসদ সদস্য নিহতদের বিষয়টি নিয়ে উপহাস করেছিলেন। ওই সময় শাপলা চত্বরে রক্তপাত হলেও সেটিকে ‘রঙ মিশিয়ে শুয়ে ছিল’ বলে মন্তব্য করা হয়েছিল।

এখন সময় এসেছে ইসলামের বাংলাদেশ দেখার: মামুনুল হক

মামুনুল হক তার বক্তব্যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের প্রতিকূলতা ও সাহাবিদের পরীক্ষার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘নবীজি কখনো বাধার সামনে মাথানত করেননি। সাহাবিরাও কঠিন পরীক্ষার মুখে পিছপা হননি। সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নবীজি সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে উদাহরণ দিয়েছেন, মুসলমানদেরও সেই পথ অনুসরণ করতে হবে।’

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, জালিমরা পরাজিত হয়, মজলুমরা বিজয়ী হয়। তার দাবি, যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে দেশের ওপর দিল্লির আধিপত্যবাদ চাপিয়ে দেওয়া হয়। ২০২৪ সালে তরুণেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সেই আধিপত্যকে উৎখাত করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ইসলামবিরোধী কার্যক্রমের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা মুসলমানদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা হয়েছে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হবে।

এমআরএএইচ/একিউএফ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow