এবার নারী লিগে ‘পুল প্রথা’!

1 day ago 8

১১ ম্যাচে ১০০ গোল। ম্যাচপ্রতি গোল গড় ৯.০৯। গোলের সেঞ্চুরির বিপরীতে মাত্র একটি হজম করেছিল বসুন্ধরা কিংস। ২০২১-২২ লিগের মতো নারী ফুটবলে বিভিন্ন দলের এমন দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখা যাচ্ছে। বিপরীতে অধিকাংশ দল গোলের মালা পরে। দেশের নারী ফুটবল লিগে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

এজন্য পুল প্রথার বিষয় নিয়েও আলোচনা হলো। যাতে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর মধ্যে শক্তির ভারসাম্য থাকে। অতীতে বিভিন্ন সময় পুরুষ ফুটবলে পুল প্রথা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। এবার নারী ফুটবলে ভারসাম্য আনতে বাফুফে পুল প্রথায় ফিরবে কি না, সময়ই বলতে পারে। বাফুফে নারী বিভাগের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরনকেও পুল প্রথা নিয়ে ইতিবাচকই মনে হলো। সরাসরি কোনো পক্ষ না নিলেও মাহফুজা আক্তার কিরন বলেছেন, ‘ক্লাবগুলোর আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে খেলোয়াড়দের পুল করার বিষয়টি এসেছে। এতে দলগুলো প্রায় সমশক্তির হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বাড়বে। পুল হলেও ফুটবলাররা যেন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেই বিষয়টি অবশ্যই দেখা হবে।’

সামনের দিনগুলোতে নারী লিগের পরিধি বাড়াতে চায় বাফুফে। ফিফার নির্দেশনায়ও ম্যাচ সংখ্যা এবং লিগের পরিধি বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে মাহফুজা আক্তার কিরন বলেন, ‘ফিফার স্বীকৃতি পেতে হলে লিগের দৈর্ঘ্য ছয় মাস এবং ৯০ ম্যাচ হতে হবে। ক্লাবগুলোকে বিষয়টি বলা হয়েছে। ক্লাবগুলো এজন্য ফেডারেশনের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে। বিষয়টি সভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির সঙ্গে আমি আলোচনা করব।’

লিগের পরিধি বৃদ্ধি করা হলে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর খরচও বাড়বে। এ জন্য বাফুফের কাছে অনুদান বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। এ সম্পর্কে বাফুফে নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজি টিপু সুলতান বলেন, ‘একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে দশ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। অন্য ক্লাবগুলোরও এতে সায় রয়েছে। আর্থিক সহায়তা না পেলে দীর্ঘমেয়াদি লিগ খেলা সম্ভব নয়।’

Read Entire Article