এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে ফ্রান্স

14 hours ago 3
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স। এর আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া একে একে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া ইউরোপের আরো বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে পারে বলে জানা গেছে।  সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এর মধ্যেই নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনকে ঘিরে বিশ্ব নেতারা একত্র হচ্ছেন। বৈঠকে গাজায় চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধে এবং স্থায়ী শান্তির পথ খুঁজতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হবে।   বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিমা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিনের প্রতি স্বীকৃতির ধারা ক্রমশ আরও সুদৃঢ় হচ্ছে যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক ধরনের টার্নিং পয়েন্ট তৈরি করবে। কারণ ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশ এখন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। তারা যদি একে একে সেই স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপ বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সংঘাতের সমাধান হিসেবে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক প্রস্তাবকে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হিসেবে দেখা হলেও, বাস্তবে সেই পথে অগ্রগতি খুবই সীমিত। এবার ফ্রান্সসহ পশ্চিমা শক্তিগুলোর এই স্বীকৃতি হয়তো আলোচনাকে নতুন মাত্রা দিতে পারে। এদিকে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতির পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইসরায়েল। প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে পশ্চিম তীরের কিছু অংশ দখলের ঘোষণা দেয় দেশটি। তবে লন্ডন সরাসরি ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ একদিকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করবে, এটি শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতিকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন। তিনি একে “সন্ত্রাসবাদকে বিশাল পুরস্কার” বলে মন্তব্য করেন এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন। নেতানিয়াহুর দাবি, এই স্বীকৃতিগুলো হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে আরও উসকে দেবে।
Read Entire Article