এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দারুণ জয়
আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কঠিন উইকেট, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি। এমন লড়াইয়ে ভরসা দিলেন দুই অলরাউন্ডার—মোহাম্মদ নওয়াজ ও হুসেইন তালাত। ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তারা পাকিস্তানকে এনে দিলো শ্বাসরুদ্ধকর জয়, বাঁচিয়ে রাখলো এশিয়া কাপ ফাইনালের স্বপ্ন।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৩৪ রানের লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না, কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে নড়বড়ে হয়ে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। ৮ ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সবুজ জার্সিধারীরা। তখনই চাপ সামলাতে এগিয়ে আসেন তালাত। পরে নওয়াজকে সঙ্গী করে গড়ে তোলেন অমূল্য পার্টনারশিপ। শেষ পর্যন্ত ১২ বল হাতে রেখেই পাকিস্তান পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।
ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান করেন নওয়াজ—২৪ বলে অপরাজিত ৩৮ রান, তিনটি ছক্কা ও তিনটি চার মিলে সাজানো ঝড়ো ইনিংস। তালাত খেলেন ধীরস্থির ৩২ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল চারটি বাউন্ডারি।
এর আগে শ্রীলঙ্কাকে থামানোতেও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন এই তালাত। তার প্রথম স্পেলেই লঙ্কানদের ইনিংস এলোমেলো হয়ে যায়। ২০ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৩৩ রান। একপ্রান্ত আগলে রাখা কামিন্দু মেন্ডিস করলেও অর্ধশতক, বাকিদের ব্যাটে জ্বলেনি আলো।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ধস নামান পাকিস্তানি বোলাররা। শুরুতে শাহীন শাহ আফ্রিদি ঝলক দেখান, দুই ওপেনারকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। তালাত নেন ২ উইকেট, হারিস রউফও নেন ২টি। একটিও পেয়েছেন স্পিনার আবরার আহমেদ।
কামিন্দু মেন্ডিসই ছিলেন লঙ্কানদের একমাত্র ভরসা—৪৪ বলে ৫০ রান, তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি শেষ হয় শাহীনের বলে বোল্ড হয়ে।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে মাহিশ থিকশানা ও হাসারাঙ্গা নেন ২টি করে উইকেট, একটি পান দুশমন্থা চামিরা। তবে তাদের প্রচেষ্টা বৃথা যায় নওয়াজ–তালাতের দুর্দান্ত জুটিতে।
এই জয়ের ফলে সুপার ফোরে পাকিস্তান এখন ফাইনালের দৌড়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করল। পরের ম্যাচেই নির্ধারিত হবে তারা ট্রফির মঞ্চে পা রাখতে পারে কি না।