‘ওই নারী যদি ভাগ্যে থাকে দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন’

8 hours ago 3
খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার ৪ মাস ১৮ দিন পর মসজিদের ১৩টি দান বাক্স থেকে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। চলছে গননা কার্যক্রম। সকাল ৭টায় দান বাক্সগুলো খোলা হয়। পরে মসজিদের ২য় তলায় ঢেলে সকাল ৯টায় গননা শুরু হয়। দিনব্যাপী গননা শেষে সন্ধ্যায় জানা যাবে দানের পরিমাণ। তবে প্রতিবার টাকা, স্বর্ণ-রুপার পাশাপাশি আলোচনায় থাকে মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া চিঠি নিয়ে। এসব চিঠিতে লোকজন জীবনের প্রাপ্তি, বিরহ-বেদনা, আয়- উন্নতির ফরিয়াদ, চাকরির প্রত্যাশা, মনের মানুষকে কাছে পাওয়া, পরীক্ষায় ভালো ফলালের আশা, রোগব্যাধী থেকে মুক্তি পেতে আকুতি প্রকাশ করে থাকেন তেমনি এক চিঠি দিয়েছেন এক ব্যক্তি। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘হে আল্লাহ, তুমি আমার অন্তরে যে নারীকে রেখেছ সে যদি আমার ভাগ্যে থাকে তাহলে তার সঙ্গে যতদ্রুত সম্ভব আমার বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন। আর যদি সে আমার ভাগ্যে না থাকে তাহলে তাকে ভুলে যাওয়ার তৌফিক দেন।’ চিঠিতে আরও লেখা রয়েছে, ‘যে নারীকে আমার ভাগ্যে রেখেছেন তাকে আমার জন্য এবং আমাকে তার জন্য মঙ্গলময় করে দেন। এবং যত দ্রুত সম্ভব তার সঙ্গে আমার বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন। আমিন।’ টাকা গননায় ৩৪০ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, জেলা প্রশাসনের ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৩ জন শিক্ষক ও স্টাফ, ৯ জন সেনা সদস্য, ৩০ জন পুলিশ সদস্য, ৫ জন আনসার ব্যাটালিয়ন ১০ জন আনসার সদস্য, ১০০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। প্রতিবার তিনমাস পর খেলা হলেও এবার ৪ মাস ১৮ দিন পর খোলা হয়েছে। দেশি টাকার পাশাপাশি সেখানে ছিল স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রাও। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় দানবাক্স খোলা হয়েছে। এ ছাড়াও সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে গত ১২ এপ্রিল দান বাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন দানের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। এখানে দান করলে মনবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে মুসলমান ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এ মসজিদে দান করে।
Read Entire Article