বিপিএলের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম কিংস। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে খুলনা টাইগার্স ২০৪ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় চট্টগ্রাম কিংসের সামনে। তবে ম্যাচের শুরুর দিকেই ক্যারিবিয়ান পেসার ওশান থমাসের করা একটি ওভার নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
প্রথম ওভারে ১৮ রান খরচ করা টি-টোয়েন্টিতে নতুন কিছু নয়। তবে এই ওভারের বিশেষত্ব হলো, এটি ১২ বলের একটি দীর্ঘ ওভার। থমাসের ওভারে চারটি নো বল এবং দুটি ওয়াইড বল দেখা গেছে। ওভারটি শুরু হয় নো বল দিয়ে। এরপর একটি সঠিক ডেলিভারির পর আবার নো বল। এর সঙ্গে যুক্ত হয় দুটি ওয়াইড। এরপরও পরপর ভুল ডেলিভারি।
২৫টি ওয়ানডে ও ২১টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা থমাস এমন ভুল করবেন, তা কল্পনা করা কঠিন। এর আগেও বিপিএলের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং খুলনা টাইগার্সের হয়ে মিরপুরে খেলেছেন তিনি। তারপরও এমন পরিস্থিতি কেন হলো, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
ম্যাচ শেষে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে থমাসের এই ওভার নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ বিষয়টি নজরে রেখেছে, তবে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০১৩ সালের বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের নো বল কান্ড এবং স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি মনে করিয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা। সেই সময় মোহাম্মদ আশরাফুলসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের ক্রিকেট থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এবারের ঘটনায় আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ কোনো তদন্ত শুরু করলে নতুন কোনো তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ইতিবাচক দিক হলো, খুলনার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ দ্বিতীয়বারের জন্য থমাসকে বল করতে দেননি। এটি হতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টের সচেতনতার ইঙ্গিত।
বিপিএলের প্রতি দূর থেকে নজর রাখছে আইসিসি। থমাসের এই বিতর্কিত ওভার তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।