হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে গত দুদিনের তুলনায় আজ কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। কারণ, সকালেই দেখা মিলছে ঝলমলে রোদের।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। শুক্রবার সকাল ৯টায় চলতি বছরের মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দিয়েছে সূর্য। শুক্রবারের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রমজীবীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্যতা দেখা গেছে। শীতের মাত্রা কমে যাওয়ায় নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ততা বেড়ে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে চতুর্থবারের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এই কয়েক দিন যে শীতের তীব্রতা ছিল তা কমে গেছে । সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভব হলেও সূর্য উঠে যাওয়ায় স্বস্তি মিলেছে। কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না। একই কথা জানান গ্রামীণ নারীরাও।
তবে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয় পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর- পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে । আজ শনিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ ছাড়া গত কয়েক দিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যার পর কুয়াশা বাড়ছে।