মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য বিশেষ কিছু নিয়ামত পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে জান্নাতির ফল। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যারা ইমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে তাদের শুভ সংবাদ দাও যে, তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয় নদী। যখনই তাদের ফলমূল খেতে দেওয়া হবে তখনই তারা বলবে, আমাদের পূর্বে জীবিকারূপে যা দেওয়া হতো এটা তো তাই। তাদের অনুরূপ ফলই দেওয়া হবে আর সেখানে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী রয়েছে, তারা সেখানে স্থায়ী হবে।’ (সুরা বাকারা ২৫)
জান্নাতে যেসব ফল পাওয়া যাবে তার মধ্যে একটি হলো ডালিম। কোরআন মাজিদে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন,
وَ هُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَ جَنّٰتٍ مَّعۡرُوۡشٰتٍ وَّ غَیۡرَ مَعۡرُوۡشٰتٍ وَّ النَّخۡلَ وَ الزَّرۡعَ مُخۡتَلِفًا اُكُلُهٗ وَ الزَّیۡتُوۡنَ وَ الرُّمَّانَ مُتَشَابِهًا وَّ غَیۡرَ مُتَشَابِهٍ ؕ كُلُوۡا مِنۡ ثَمَرِهٖۤ اِذَاۤ اَثۡمَرَ وَ اٰتُوۡا حَقَّهٗ یَوۡمَ حَصَادِهٖ ۫ۖ وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ؕ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ
‘আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন এমন বাগানসমূহ, যার কিছু মাচায় তোলা হয় আর কিছু তোলা হয় না এবং খেজুরগাছ ও শস্য, যার স্বাদ বিভিন্ন রকম, জয়তুন ও আনার (ডালিম), যার কিছু দেখতে এক রকম আর কিছু ভিন্ন রকম।
তোমরা তার ফল থেকে আহার করো, যখন তা ফল দান করে এবং ফল কাটার দিনেই তার হক দিয়ে দাও আর অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সূরা আনআম, আয়াত : ১৪১)
ডালিম পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি ফল, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে শরীরের ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করে এ ফল।
প্রতিদিন ডালিম খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, রক্তশূন্যতা এবং হাড়ের ব্যথা কমাসহ হজমশক্তি ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে। শুধু ডালিমের দানাতেই নয় খোসাতে রয়েছে নানাবিদ উপকারিতা। ডালিমের খোসায় উপকারিতা নিয়ে হজরত আলী রা. বলেন, ‘তোমরা খোসাসহ ডালিম খাও। কেননা তা পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ৫/৯৯)
জান্নাতে শুধু ডালিম বা শুধু ফল পাওয়া যাবে এমন নয়। জান্নাতে বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবেন তাই পাবেন, যা মানুষের ধারণারও বাইরে। চিরস্থায়ী জান্নাতে যেসব নেয়ামত রয়েছে তা মানুষের কল্পনার বাইরে।