রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) শুরু হওয়া প্রথম দিনের কর্মসূচিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আস্থা-বৃদ্ধিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশেষ এক আন্তঃক্রিয়ামূলক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের বিষয়বস্তু বৈশ্বিক অংশীদারদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ‘স্টেকহোল্ডারস’ ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়েস টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যুর হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খালিউর রহমান এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিভিন্ন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি এবং রোহিঙ্গা প্রবাসীরাও যোগ দেন। অধিবেশনটি রোহিঙ্গাদের কণ্ঠ শোনার জন্য নির্ধারিত হওয়ায় তারা বক্তব্য দেন।
অধিবেশনটি পরিচালনা করেন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা লাকি করিম, মোহাম্মদ রফিক (খিন মাউং) ও ওমর সালমা।
অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন- সয়েদুল্লাহ, ফুরকান মির্জা, আব্দুল্লাহ, হুজ্জৌত উল্লাহ, সহাত জিয়া হিরো, আব্দুল আমিন, জাইটুন নারা, জিহিন নূর, আব্দুল্লাহ এবং রো মুজিফ খান।
মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক থমাস এইচ. অ্যান্ড্রুজ এ অধিবেশনে যোগ দেন।
এছাড়া বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, জাতিসংঘ সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন, গণমাধ্যম, বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেন।
জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর (অ্যাড-ইনচার্জ) রানা ফ্লাওয়ার্স, মিয়ানমার সম্পর্কিত স্বাধীন অনুসন্ধানী প্রক্রিয়ার (আইআইএম) প্রধান নিকোলাস কুমজিয়ান এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সহকারী হাই কমিশনার রাউফ মাজুও অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অধিবেশনে যোগ দেন বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং গণঅধিকার পরিষদসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল ২৫ আগস্ট সম্মেলনের মূল অধিবেশন উদ্বোধন করবেন।
এমইউ/এনএইচআর/জিকেএস