রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, গুলি ও মাদকসহ অস্ত্র ও মাদক কারবারি মো. শুকুর হোসেন (৪২) ও মো. বাচ্চু মিয়াকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান।
একেএম শহিদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে কদমতলী থানার রহমতবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভাড়া বাসায় অবস্থানকারী অস্ত্র ও মাদক কারবারি মো. শুকুর হোসেন ও ভাড়াটিয়া মো. বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে প্রথমে বাচ্চু মিয়াকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। তার কাছ থেকে ৯৬টি ইয়াবা ও ৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। পরে শুক্কুর পালানোর চেষ্টা করলে ছাদ ঘেরাও করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার শপিংব্যাগ থেকে লোড করা অবস্থায় ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব প্রধান জানান, উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে একটি পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র। সেটির সিরিয়াল নম্বর ঘঁষে ফেলা ও বাট পরিবর্তনের মাধ্যমে শনাক্ত এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তাররা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শুক্কুরের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদকসংক্রান্ত ৪টি মামলা রয়েছে এবং সে আগেও চারবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। অন্যদিকে বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধেও মাদক-সংক্রান্ত ২টি মামলা রয়েছে।
লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের উৎস ও ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে তাদের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে র্যাব।