কবি সুফিয়া কামাল স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভা

প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুবসমাজকে বইমুখী করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে প্যাপিরাস পাঠাগার। প্রতি সপ্তাহে দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথিতযশা কবি ও প্রগতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব বেগম সুফিয়া কামালকে ঘিরে আবর্তিত ছিল এবারের সাহিত্য আড্ডা। ২১ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর শহরের চাঁদ টাওয়ারে প্যাপিরাস পাঠাগার কার্যালয়ে কিংবদন্তি নারীবাদী লেখক বেগম সুফিয়া কামাল স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাঠাগারের উপদেষ্টা দিলীপ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান পরিচালক মিজানুর রহমান স্বপনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট শীতল চন্দ্র ঘোষ, রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, শিক্ষক নেতা ও খেলাফত মজলিশের চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। কিংবদন্তি লেখক বেগম সুফিয়া কামালের ‘জীবন ও সাহিত্য’ সম্পর্কে আলোচনা করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি, উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহ আলম, উপ-সভাপতি ফেরারী প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য নাজমুল ইসলাম, আবদুর রব ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব জাহেদুর রব জাহেদ, ভাসানী সামাজিক সা

কবি সুফিয়া কামাল স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভা

প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুবসমাজকে বইমুখী করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে প্যাপিরাস পাঠাগার। প্রতি সপ্তাহে দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথিতযশা কবি ও প্রগতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব বেগম সুফিয়া কামালকে ঘিরে আবর্তিত ছিল এবারের সাহিত্য আড্ডা।

২১ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর শহরের চাঁদ টাওয়ারে প্যাপিরাস পাঠাগার কার্যালয়ে কিংবদন্তি নারীবাদী লেখক বেগম সুফিয়া কামাল স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠাগারের উপদেষ্টা দিলীপ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান পরিচালক মিজানুর রহমান স্বপনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট শীতল চন্দ্র ঘোষ, রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, শিক্ষক নেতা ও খেলাফত মজলিশের চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

কিংবদন্তি লেখক বেগম সুফিয়া কামালের ‘জীবন ও সাহিত্য’ সম্পর্কে আলোচনা করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি, উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহ আলম, উপ-সভাপতি ফেরারী প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য নাজমুল ইসলাম, আবদুর রব ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব জাহেদুর রব জাহেদ, ভাসানী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংঘের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম রাজিব, সাহিত্যানুরাগী আকবর হোসেন লিটন, মুন্না ও খাদিজা মুন্নী। কবিতা আবৃত্তি করেন রাইসা ইসলাম।

আরও পড়ুন
বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা: রহমান রাজু 
বই পড়িয়ে আলো ছড়াচ্ছেন জামাল হোসেন 

পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি বলেন, ‘কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন একজন আধুনিক নারী। নারী অগ্রযাত্রার জন্য সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। সাহিত্যর্চচার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশের প্রতিটি সংকটকালে। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেন অপরিসীম সাহস জুগিয়েছেন, স্বামীর উৎসাহ-উদ্দীপনা তাঁকে এগিয়ে যেতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘‘সবুজ পাতার খামের ভেতর/ হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে/ কোন পাথারের ওপার থেকে/ আনলো ডেকে হেমন্তকে।’ আমাদের অন্যতম ঋতু হেমন্তের পরিচয় এভাবেই তুলে ধরেছেন তিনি। পরিতাপের বিষয়, কবি সুফিয়া কামালকে আমরা হেমন্তকালেই হারিয়েছি।’

সভাপ্রধান দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, ‘সাঁজের মায়া কাব্যের ভেতর দিয়ে সুফিয়া কামাল আমাদের অন্তরের মণিকোঠায় ঠাঁই পেয়েছেন। বেগম রোকেয়ার পরে এ দেশের নারী জাগরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছেন কবি সুফিয়া কামাল।’

অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি সুফিয়া কামালের জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন বক্তারা। সব শেষে ফলচক্রের আয়োজন করা হয়।

কবি সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্ধশতাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। ১৯৯৭ সালের ২০ নভেম্বর ৮৮ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: সাঁজের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন, উদাত্ত পৃথিবী, দিওয়ান, অভিযাত্রিক, মৃত্তিকার ঘ্রাণ।

এসইউ/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow