পাকিস্তানের করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে রুট চালু হওয়ায় আমদানি পণ্যের কনটেইনার সরাসরি পরিবহনে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, শহীদুল আলম, কমডোর এম ফজলার রহমান প্রমুখ।
তিনি বলেন, এর আগেও পাকিস্তান থেকে সমুদ্রপথে পণ্য এসেছে বাংলাদেশে। তখন করাচি বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর এবং কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন হতো। নতুন রুট চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। করাচি-চট্টগ্রাম রুটে ভবিষ্যতে নিয়মিত জাহাজ পরিচালনা করতে মালিকরা আগ্রহী। এতে উভয় দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন:
- প্রথমবারের মতো করাচি থেকে পণ্যবাহী জাহাজ এলো চট্টগ্রামে
- পাকিস্তান থেকে সেই জাহাজে এলো আলু-পেঁয়াজ ও শিল্পের কাঁচামাল
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমবার গত ১১ নভেম্বর একটি জাহাজ ৩২৮ কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এইচআর শিপিং লাইন জাহাজটি করাচি থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি নিয়ে আসে। জাহাজটি ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেবল আলী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে। জাহাজটির সাধারণ রাউন্টিং হচ্ছে আরব আমিরাতের জেবল আলী- করাচি-চট্টগ্রাম-ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-মুন্দা (ভারত)-জেবল আলী।
তিনি বলেন, গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। যা বিগত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউস বেশি, প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ।
এমডিআইএইচ/এসএনআর/এমএস