কলাবাগানে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিল পুলিশ

23 hours ago 3

রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিল পুলিশ। জানা গেছে, অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখেন স্বামী।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

তিনি বলেন, স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল নজরুলের। তিনি সন্দেহ করতেন, তাসলিমার অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি নজরুলের সম্পত্তিও হাতিয়ে নিতে পারেন। এই সন্দেহ থেকেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, গত রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে নজরুল বাসায় ফিরে দেখে, ফ্ল্যাটের দরজার তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। এতে আরও সন্দেহ বেড়ে যায় তার। এরপর রাত ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাসলিমাকে হত্যা করেন। পরে লাশ গামছা দিয়ে বেঁধে, চাদর ও ওড়নায় মুড়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন। এরপর রক্তমাখা তোশক উল্টে রাখেন, মেঝে পরিষ্কার করেন এবং নিজের জামাকাপড় ধুয়ে হত্যার আলামত গোপনের চেষ্টা করেন।

পরদিন সকালে বড় মেয়েকে তিনি জানান, তার মা অন্য একজনের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। কিন্তু মেয়েটি ঘরের দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পায়। পরে নজরুল দুই মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আদাবরের এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে দেন এবং সেখান থেকে পালিয়ে যান।

ঘটনায় সন্দেহ হলে তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন ও ওই দম্পতির দুই মেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কলাবাগান থানায় অভিযোগ দেন। 

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল ফ্ল্যাটটিতে যায় বলে জানান ডিসি মাসুদ আলম। তিনি বলেন, পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ডিপ ফ্রিজ খোলে তারা। ফ্রিজের ওপরের দিকে থাকা মাছ-মাংস সরালে চাদর দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় তাসলিমার লাশ পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় গত সোমবার রাতে তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, মামলার পর পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে। গোয়েন্দা তথ্যসহ প্রযুক্তির সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ নজরুলের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

Read Entire Article