‘কালবেলা এখন মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম’
দেশের অন্যতম পাঠকপ্রিয় দৈনিক কালবেলা পেরিয়ে এসেছে সাফল্যের তিনটি বছর। সততা, ন্যায় আর নির্ভীক সাংবাদিকতার মশাল হাতে নিয়ে চতুর্থ বছরে পদার্পণ করেছে পত্রিকাটি। এ উপলক্ষে শেরপুরে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে তৃতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে শেরপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনাসভা, কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
কালবেলার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি কবি রফিক মজিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন শেরপুর পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শেরপুর প্রেস ক্লাবে সভাপতি কলামিস্ট কাকন রেজা ও শেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন আক্তার। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শেরপুর প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি কবি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল, সিনিয়র সহসভাপতি মুগনিউর রহমান মনি, সহসভাপতি শাহরিয়ার মিল্টন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন ও সিনিয়র সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি আমাকে এই পোগ্রামে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। কালবেলা আসলেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ কালবেলা থেকেই শুরু হয়। কালবেলার সাফল্য কামনা করছি; পাশাপাশি আগামী দিনগুলোতে কালবেলা যাতে আরও গৌরব অর্জন করতে পারে সে প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের কোথাও কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে আপনারা অবশ্যই খবর প্রচার করবেন। তবে সেটা বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে। খবর প্রকাশ না হলে শুধরানোর সুযোগ থাকে না। কালবেলা আরও এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশা করছি।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলামিস্ট কাকন রেজা বলেন, দেশের অন্যতম পাঠকপ্রিয় দৈনিক কালবেলা। সততা, ন্যায় আর নির্ভীক সাংবাদিকতা করে চতুর্থ বছরে পদার্পণ করেছে পত্রিকাটি। সবসময় বিরুদ্ধ সময়কে আপন করে নিয়ে কালবেলা এখন মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম। পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সনও দেশসেরা। শুধু খারাপ সময় নয় ভালো সময়েও কালবেলা হোক আমাদের আস্থার জায়গা। কালবেলা আরও এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশা করছি।
কার্যকরী সভাপতি কবি রফিক মজিদ বলেন, কালবেলা সরকার পতনের আগে অনেক ভালো রিপোর্ট উপহার দিয়েছে। সময়ের সাহসী পত্রিকা হিসেবে কালবেলা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেছে চোখে চোখ রেখে, যা আমাদের গণমাধ্যম অঙ্গনের জন্য গর্বের বিষয়। আমি কালবেলার সাফল্য কামনা করছি।
সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল বলেন, তরুণ সমাজের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানো, জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে সৎ, সাহসী ও সুস্থ সাংবাদিকতা চর্চা করার ক্ষেত্রে দৈনিক কালবেলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পত্রিকাটি ভবিষ্যতেও নিরপেক্ষতা, নৈতিকতা এবং জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পথচলা অব্যাহত রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন বলেন, কালবেলা প্রথম থেকেই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সত্য প্রকাশ করেছে। যার দরুন অল্প সময়ের মধ্যে সাহসী গণমাধ্যম হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। কালবেলা সামনের দিনে আরও পাঠকপ্রিয় হবে আশাকরি।
অনুষ্ঠানে শেরপুরে কর্মরত কালবেলার বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধিসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।