কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ঘরের মধ্যে মা ও মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ও পুত্রবধূকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লা সিটি কপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের উপজেলার রামনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় মরদেহ দুটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন ইপিজেড ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, রামনগর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের স্ত্রী লুৎফা বেগম (৭০) ও মেয়ে আয়েশা আক্তার শিল্পী (৩৮)।
আটকরা হলেন, নিহত লুৎফা বেগমের ছেলে শাহিন আলম ও তার স্ত্রী লাকি আক্তার।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত লুৎফা বেগম ও তার মেয়ে আয়েশা আক্তার শিল্পী অভিযুক্ত শাহিনের সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন। মা-ছেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহের জেরে মতবিরোধ চলছিল। শাহিন তার মা ও বোনকে প্রকাশ্যে একাধিকবার মারধর করেন। তারা বিষয়টি স্থানীয়দের জানালেও শাহিনের স্ত্রী লাকীর ভয়ে নিরসনে কেউ এগিয়ে আসেনি।
আরও পড়ুন-
- জন্মদিনে প্রথমবারের মতো কেক কাটলো একসঙ্গে জন্মানো সেই চার শিশু
- মাদারীপুরে ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু
- গাজীপুরে টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানার ওসি বদলি
নিহতের বড় মেয়ে শিউলী আক্তার বলেন, আমার বাবা নেই। মা-বোন ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাই শাহিন ও তার স্ত্রী লাকী তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে আসছে। শনিবারও আমার মা-বোনকে ভাইয়ের স্ত্রী মারধর করেছে। সম্পত্তির লোভে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে ঘরের মধ্যে দুইজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন ইপিজেড ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ খবর পেয়ে বিকেলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের ছেলে ও পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিহতদের শরীরে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে অগ্রীম কিছুই বলা যাচ্ছে না।
জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এমএস