বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি বয়স ৫০ ছুঁয়েছে। এই বয়সে নিজের ফিটনেস ধরে রেখেছেন তা সবার কাছেই বেশ প্রশংসনীয়। অর্ধশত বছর পেরিয়েও তিনি এখনো রয়েছেন সৌন্দর্য আর আত্মবিশ্বাসের জীবন্ত প্রতীক হিসেবে। যার কাছে বয়স হার মেনেছে।
তবে মজার বিষয় হলো নিজেকে ফিট রাখতে মুখরোচক খাবার খাওয়া বন্ধ করেননি। সপ্তাহে একদিন তিনি কোনো রকম ডায়েট করেন না। মুখরোচক খাবার খেয়ে থাকেন।
শিল্পা নিজে মুখরোচক খাবার রেসিপি দিয়েছেন তার ইউটিউব চ্যানেলে। কাবলি ছোলা আর মিষ্টি দিয়ে তৈরি করেন একটি বিশেষ চাট। ভারতীয় স্ট্রিট ফুড হিসেবে চাট বেশ জনপ্রিয়। শিল্পা তার নিজস্ব স্টাইলে এই কাবলি ছোলার চাটটি তৈরি করে থাকেন।
এটি তৈরি করতে একটি বাটিতে ১ কাপ সেদ্ধ কাবলি ছোলা, ১ কাপ সেদ্ধ মিষ্টি আলু নিয়ে তারমধ্যে ৫ টেবিল চামচ টকদই, ২ টেবিল চামচ ধনিয়া পাতা, ১ চা চামচ কাঁচামরিচ কুচি, ১ টেবিল চামচ পুদিনাপাতা, ১ চা চামচ লাল চিনি, ১ চা চামচ চাট মসলা পাউডার, আধা চামচ পিঙ্ক সল্ট, আধা চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এর ওপর ১ টেবিল চামচ তিসির বীজ, ১ টেবিল চামচ সাদা তিল, ১ টেবিল চামচ ডালিমের দানা দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। এই খাবারটি হালকা খাবার বা সাইড ডিশ হিসেবে উপভোগ করতে পারেন।
শিল্পা জানান, এই খাবার খেলে তার মন ভালো থাকে এবং তার স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এছাড়া নিয়মিত খেলে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে বলে তিনি মনে করেন।
এই চাট কী কী উপকার করবে
চাটের রেসিপি তিনি তৈরি করেছেন নিজের পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে। খাবারটিতে সব ধরনের জরুরি পুষ্টি এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে। কাবলি ছোলা এটি উদ্ভিজ প্রোটিনে ভরপুর। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেট, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম এবং কপারের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ। যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ম্যাঙ্গানিজ। ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম এবং ফাইবার। যা ওজন কমাাতে সাহায্য করে।
এছাড়া রয়েছে টকদই, সাদা তিল, তিসির বীজ, ধনিয়া পাতা, পুদিনাপাতা, জিরার মতো স্বাস্থ্যকর উপকরণ। যা হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পেশি এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়, রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি করে। এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমাতে হলে এটি খেয়ে দেখতে পারেন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, শিল্পা শেঠি ইউটিউব চ্যানেল
এসএকেওয়াই/কেএসকে/জিকেএস