মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ওই নেতার নাম জামাল উদ্দিন গাজী। তিনি সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী সদস্য।
এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন দাবি করে বলেন, ‘শোভাযাত্রা দূরে থাক; গত এক মাসে মোটরসাইকেলেও চড়িনি আমি। কেন্দ্রকে কেউ ভুল বুঝিয়েছে আমার নামে।’
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে জামাল উদ্দিনকে দল থেকে বহিষ্কারের একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়ে। যাতে স্বাক্ষর রয়েছে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর। চিঠিতে জামাল উদ্দিন গাজীর বিরুদ্ধে দলের নির্দেশনা অমান্য করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জামাল উদ্দিনকে উদ্দেশ করে ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে আপনি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেছেন, যা দলের শৃঙ্খলার প্রতি চরম অবমাননা। সুতরাং শৃঙ্খলার অবমাননার দায়ে আপনাকে সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন ও মীর হেলাল উদ্দিন এবং নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির দপ্তর থেকে চিঠি ইস্যু করার পরপরই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামাল উদ্দিন গাজী কালবেলাকে বলেন, ‘মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা দূরের কথা, গত এক মাসের বেশি সময় কারও মোটরসাইকেলে উঠেছি বলে মনে পড়ছে না। গতকাল সোমবার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর মিছিল নিয়ে খাসের হাট শেখ হাসিনাসহ ফ্যাসিস্টদের দোসরদের বিচারে ও ফাঁসির দাবিতে সমাবেশে যোগ দিয়েছি।’
জামাল উদ্দিন গাজীর দাবি, তিনি স্কুলজীবন থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গত ১৬ বছরে অনেক মামলার আসামি হয়েছেন। তিনি এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই কারণে দলের কুচক্রী কেন্দ্রীয় বিএনপিকে ভুল বুঝিয়ে তাকে বহিষ্কারের চিঠি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, জামাল উদ্দিন গাজী গতকাল ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার হেঁটে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে দলের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। সেখানে তারা কোনো মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা দেখেননি। কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে দলের কেউ তাকে বহিষ্কার করিয়েছেন বলে জানান তিনি।