কেন্দ্রীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গঠনের আগ পর্যন্ত এনআইডি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছেই থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে ‘এনআইডির ওনারশিপ বিষয়ে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন’-এ এমনটা জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শিষ হায়দার চৌধুরী।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, বৈশ্বিক মান অনুসরণ করে নাগরিকদের তথ্য উপাত্ত বিকেন্দ্রীকরণ করে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার অধীনে আনা হবে। সম্মেলনে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কীভাবে জাতীয় পরিচয়ের তথ্য সংরক্ষণ করা হয় তা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, কার্পেটের নিচে সমস্যা না লুকিয়ে সমাধানের জন্য আমরা একটার পর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ তৈরি না করে একটা ন্যাশনাল ডেটা অথরিটি গঠন করতে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বলেন, বিশ্বের ৯৩টি দেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ডেটাবেস ব্যবস্থাপনা করেন। সেই বিবেচনায় যেহেতু নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা সব তথ্য তাদের কাজে লাগে না। তাই আপাতত যার যার কাছে যে তথ্য আছে তা তাদের কাছেই থাকবে। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অধীনে নেওয়া হবে। এতে কেউ চাকরি হারাবে না। বরং আরও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, আমরা ডেটা অথরিটির কথা বলছি। আমরা বলছি না যে নির্বাচন কমিশনের যে আইটি সেল আছে, সেটাকে বন্ধ করে দেব। তার যে সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার এবং কারিগরি ক্ষমতা আছে সেটাকে আমরা নিয়ে নেব? আমরা যেটা বলছি ডাটা অথরিটির মাধ্যমে রেগুলেটেড হবে যার কাছে যেটা আছে সেটা আপাতত সেখানেই থাকবে। একটা পর্যায়ে এসে যখন এই সফটওয়্যারগুলোকে রূপান্তর করা দরকার যখন এগুলো পুরোনো হবে। ওই সময় ওই সময় যেটাকে একটা কেন্দ্রীয় অথরিটির আন্ডারে নিয়ে আসব। আপাতত যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, আমরা নির্বাচন কমিশনের বিষয়টা সুস্পষ্টভাবে সামনে আনলাম। কারণ নির্বাচন কমিশন থেকে কয়েকটা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে এনআইডি সেবা যেন নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে নিয়ে নেওয়া না হয়। আমরা বলতে চাচ্ছি যে এখন নির্বাচন কমিশন যে ডেটাবেইজ মেইনটেইন করে তারা সেটাই মেইনটেইন করবে। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের একটি স্বাধীন ডেটা অথরিটির দিকে যেতে হবে, যেটা কিনা আমাদের লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক, অথেন্টিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক, ডেটা এন্টেন্ট ফ্রেমওয়ার্কের জন্য জরুরি।
তিনি বলেন, দেশে এখনো কোনো ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন না থাকায় রূপান্তরের পথরেখা তৈরি করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে চলতি মাসের শেষ নাগাদ এই আইনের একটি খসড়া প্রকাশ করা হবে। একইসঙ্গে সাইলোগুলোর মধ্যে আন্তঃক্রিয়াশীলতা এবং জাতীয় সম্পদ হিসেবে একটি স্বতন্ত্র ডেটা অথরিটি গঠন করা হচ্ছে।