ডায়াবেটিস রোগী আছে এখন প্রায় ঘরে ঘরেই। জীবনযাপনে অনিয়মের কারণেই মূলত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আর একবার ডায়াবেটিস হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখাই চ্যালেঞ্জের বিষয়। অনেকে তো নিয়মিত ওষুধ খেয়েও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না ডায়াবেটিস।
এর মূল কারণ হলো শরীরচর্চা না করা ও ভুল খাদ্যাভাস। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আপনি যতই ওষুধ খান কিংবা ইনসুলিন গ্রহণ করুন না কেন, খাদ্যাভাস ঠিক না থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন না।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি খাবার অবশ্যই পাতে রাখা উচিত রোগীদের। যেগুলোকে বলা হয় সুপারফুড। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন সহজেই। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন সুপারফুডে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস-
সবুজ শাকসবজি
এই মৌসুমে পালং শাক কিংবা বাঁধাকপির মতো সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা। এই শাকসবজি খুবই উপকারী শরীরের জন্য। এসবে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও কম কার্বহাইড্রেট থাকে। একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই ভালো।
ফল
জাম ও স্ট্রবেরি খেতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা। এই দুটি ফলেও থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এসবের পাশাপাশি টকজাতীয় ফল খেতে পারেন, শরীরের ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণে। তবে ভুলে অতিরিক্ত মিষ্টি ফল খাবেন না।
অন্যদিকে অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও কম কার্বোহাইড্রেট আছে। এটি খেলে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। এই ফল দামী হলেও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
আরও পড়ুন
বাদাম ও বীজ
বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের বীজে উপকারি ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবার থাকে, যা ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে কাঠবাদাম, আখরোট সঙ্গে চিয়া সিড খেতে পারেন।
ওটস
ভাত-রুটি বাদ দিয়ে ওটস দিয়েও মজার সব পদ তৈরি করে খেতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা। ওটস সহজেই হজম হয়, এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
দারুচিনি
রান্নাঘরের এই মসলা কিন্তু দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। খাবারে দারুচিনির ব্যবহার ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে।
হলুদ
হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক, এ কথা সবারই জানা। ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে হলুদ অত্যন্ত ভালো কাজ করে। কারণ এতে জ্বালা বা প্রদাহ রোধকারী উপাদান আছে। যা শরীরকে ইনসুলিন গ্রহণে সাহায্য করে।
মটরশুটি ও মাসকলাই
মটরশুটি কিংবাবা মাসকলাইয়ে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও প্রোটিন আছে। যা ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
সূত্র: এবিপি লাইভ
জেএমএস/জেআইএম