কোন মহিলাদের যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, জানুন ডাক্তারদের পরামর্শ

1 week ago 9

যমজ সন্তানের গর্ভধারণ সব মহিলার জন্য সাধারণ নয়। এর পেছনে জেনেটিক কারণ, চিকিৎসা ও কিছু পরিস্থিতি কাজ করে। আসুন জেনে নিই, কোন মহিলাদের যমজ সন্তানের সম্ভাবনা বেশি।

গর্ভাবস্থা প্রতিটি মহিলার জন্য বিশেষ মুহূর্ত। অনেকেই এক সুন্দর ও সুস্থ সন্তানের আশা করেন। আবার কেউ কেউ স্বপ্নে দেখে দুই সন্তান একসাথে জন্ম নেবে।

আরও পড়ুন : কত বয়সে শুরু করবেন কোলেস্টেরল টেস্ট? চিকিৎসক যা বলছেন

আরও পড়ুন : খাদ্যনালির ক্যানসারের যে উপসর্গগুলোকে অবহেলা করবেন না

তবে ডাক্তাররা বলছেন, যমজ সন্তানের জন্মের পিছনে কিছু বৈজ্ঞানিক ও জেনেটিক কারণ আছে।

পারিবারিক ইতিহাসের প্রভাব

ডা. গরিমা চৌহান জানিয়েছেন, যমজ সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনও মহিলার মা, দাদী বা বোনের যমজ সন্তান থাকে, তবে তারও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটি মূলত জেনেটিক ফ্যাক্টর, যা পরিবর্তন করা যায় না।

ডিম্বস্ফোটন ওষুধের প্রভাব

যাদের স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণে সমস্যা হয়, ডাক্তাররা কখনও ডিম্বস্ফোটন ওষুধ দেন। এই ওষুধ একাধিক ডিম্বাণু তৈরি করতে সাহায্য করে। যদি একাধিক ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়, তাহলে একসাথে দুটি ভ্রূণ বিকশিত হতে পারে, যা যমজ গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায়।

IVF চিকিৎসা

আজকাল IVF (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) চিকিৎসার মাধ্যমে যমজ সন্তানের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। এই প্রক্রিয়ায় ডাক্তাররা একাধিক ভ্রূণ ইমপ্লান্ট করেন, যাতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি হয়। তবে সব সময় ফলাফল ১০০% নয়।

আরও পড়ুন : শরীর যথেষ্ট ফাইবার পাচ্ছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

আরও পড়ুন : মাছের মাথা খাওয়ার ৭ দারুণ উপকারিতা

ডা. গরিমা বলেন, যমজ সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রে জেনেটিক ও চিকিৎসা দুটোই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ভাগ্যও কাজ করে। কখনও কোনও বিশেষ কারণ ছাড়াও যমজ সন্তান হতে পারে। আবার অনেক সময়, IVF চিকিৎসা নেওয়ার পরও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নাও থাকতে পারে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংল

Read Entire Article