ঠিক ড্রেস রিহার্সাল বলা যায় না। দুটোর আকার-প্রকৃতি একদমই ভিন্ন; পরিসরেও অনেক পার্থক্য। ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের নির্বাচনের কোনো তুলনাই চলে না। তবুও ক্রিকেটারদের কল্যাণে গঠিত সংগঠন কোয়াবের আজ বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে দেখা মিলেছে সাবেক ও বর্তমান জাতীয় সহ অনেক নামি, তারকা ক্রিকেটারের।
বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তামিম ইকবাল দুজনই একসঙ্গে বিসিবি ভবনের দিক থেকে অনেকটা পথ এক সঙ্গে হেঁটে ঢুকলেন শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের উত্তরে বিসিবি একাডেমি ভবনের দিকে। আজ সেখানেই হয়েছে কোয়াবের নির্বাচন।
মাস খানেক পর যারা বিসিবি নির্বাচনে মুখোমুখি হবেন, তারাই এক সঙ্গে কোয়াবের নির্বাচনে ভোট দিতে ঢুকলেন; দেখে অনেকেরই মন ভালো হয়ে গেছে। ক্রিকেট ও খেলোয়াড়দের মঙ্গল, কল্যাণ ও উন্নয়নে যে এমন সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সহৃদয়তা ও আন্তরিকতা খুব দরকার।
ভোট দিতে এসে শুধু পূর্বসুরী আকরাম চাচার (আকরাম খান) বন্ধু বুলবুল চাচ্চুই নন, নান্নু চাচ্চু (মিনহাজুল আবেদিন নান্নু) সহ আরও অনেক সিনিয়র-জুনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা হয়েছে তামিমের। তাতে আপ্লুত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক ও ওপেনার।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার প্রায় শেষ। ১৫-১৬ বছর এটা (কোয়াবের নির্বাচন) দেখতে পারিনি। এটা দেখে আমি অনেক খুশি। মনে হয় সিনিয়র ক্রিকেটাররা, এমনও ক্রিকেটার আছেন, যাদের সাথে প্রথমবার দেখা হলো, সুন্দর একটা কার্নিভালের মতো হলো, আমার মনে হয় এই জিনিসটা চালিয়ে যেতে হবে।’
তামিম চেয়েছেন বর্তমান প্রজন্মের এবং এখনও খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের কেউ সভাপতি হন, মূল নেতৃত্ব তাদের হাতেই থাকুক।
কেন এমন চাওয়া? ব্যাখ্যায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, কোয়াবের ৯৫ শতাংশ কাজ চলতি ক্রিকেটারদের নিয়ে। ধরেন, যদি বেতন-ভাতার কোনো বিষয় বা খেলোয়াড়ের সুবিধাদি ইস্যু; এগুলো হবে বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়ে। তাদের মধ্যে যদি কেউ দাঁড়ায়, তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে।’
বিশদ ব্যাখ্যায় তামিম বলেন, ‘ওদের (বর্তমান খেলোয়াড়রা) সুযোগ-সুবিধা কী হচ্ছে, এটা তাদের চাইতে বেশি ভালো কেউ বুঝবে না। সাবেক ক্রিকেটাররাও অবশ্যই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাদেরও অনেক অবদান রয়েছে। তবে এই সংগঠনের ৯৫ শতাংশ কাজ বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়ে। সুতরাং তাদের মধ্যে থেকে কেউ সভাপতি হয়, আমি এটাকে খুব ভালোভাবে নিবো।’
এক সময় শোনা যাচ্ছিল, তামিমও কোয়াব নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু পরে আর তাকে কোয়াবের কোনো পদে নির্বাচন করতে দেখা গেল না। তামিম কেন কোয়াবে আসলেন না?
সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাব সরাসরি দেননি সাবেক বাঁহাতি ওপেনার। বুঝিয়ে দেন অনেকটা এভাবে, বিসিবি নির্বাচনে দাঁড়ানোর কারণেই কোয়াবের কোনো পদে নির্বাচন করেননি।
তামিম কৌশলী উত্তর দেন এভাবে, ‘আমি নিশ্চিত, এটার কারণ আপনারাও জানেন আমি কেন আসিনি। এটা আপনারা সামনে দেখতে পাবেন।’
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম