ক্রিকেট কিংবা ফুটবল সব জায়গায় ব্যর্থ ছেলেরা
বিমানবন্দর থেকে মতিঝিল, ছাদখোলা বাসে সাফজয়ী নারীদের ঘুরে বেড়ানোর স্মৃতি এদেশের সমর্থকদের কাছে এখনো টাটকা। তবে এরই মাঝে ঘরের মাঠে ছেলেরা লিখল ব্যার্থতার গল্প। যে দেশের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নয় মাস ধরে দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ, ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্ধকারে থাকা দেশটার কাছেই ঘরের মাঠে লজ্জার পরাজয় বরণ করল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
কিংস এ্যারেনায় শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচের ১৭ মিনিটে হামজা মোহাম্মদের ফ্রি কিক থেকে আলী ফাসির যেভাবে গোলটি করেছেন তা দেখে বোঝার উপায় নেই এই দলটি গেল এক বছর ধরে আছে খেলার বাইরে। এমনকি এই সময়টায় দেশটির ঘরোয়া লিগও গড়ায়নি মাঠে। শেষ পর্যর্ত ওই এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মালদ্বীপ। আর বাংলার ছেলেরা ঘরের মাঠে লিখেছে আরও এক হতাশার গল্প।
ক্রীড়াঙ্গনে ছেলেদের ব্যর্থতা কেবল ফুটবলে নয়, ক্রিকেটেও একই অবস্থা। নারী ক্রিকেটাররা যখন এশিয়ার মঞ্চে জয় পায়, পুরুষরা তখন পুচকে আফগানদের কাছে পছন্দের ফরম্যাট ওয়ানডেতেও সিরিজ হারে। নারী ক্রিকেটারদের ঝুলিতে এশিয়া কাপের শিরোপা থাকলেও পুরুষদের অর্জন কেবল এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা পর্যন্ত। অথচ ক্রীড়াঙ্গনে পুরুষদের পেছনেই ফেডারেশনগুলো ব্যয় করে কোটি কোটি টাকা।
কারি-কারি অর্থ ব্যয় করেও ক্রিকেটে সাকিব-তামিম আর ফুটবলে জামাল-তপুরা দেশকে দিতে পারে নি তেমন কোনো বড় অর্জন। অথচ সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের জীবনসংগ্রামের গল্প শুনলেও যে কারো চোখ ভিজে যাবে। শত বাধা বিপত্তি থাকার পরও নারীদের ঝুলিতে এত এত অর্জন পুরুষরা কেন ব্যর্থ? এমন প্রশ্ন আপনার মনে জাগতেই পারে। তবে তার সহজ উত্তর হবে এটাই দেশের পুরুষ ক্রিকেটার বা ফুটবলারদের সত্যিকারের সামর্থ্য।