পঞ্চগড়ে ঠান্ডা বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত, বিপাকে মানুষ

3 hours ago 6

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা গত দুদিন ধরে কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। বিশেষ করে ঘন কুয়াশা আর উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত। এতে বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ।

এদিকে পঞ্চগড়ের আশপাশের উপজেলাগুলোতে গত কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীর পাথর শ্রমিক শুভ ইসলাম বলেন, কনকনে শীতে বরফগলা ঠান্ডা পানিতে নেমে কাজ করতে কষ্ট হয়। পরিবারের কথা চিন্তা করে এই কষ্টের কাজ করতে হয়, যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনোমতে চলতে হয়।

ভ্যানচালক রবি ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার শীত বেশি হওয়ায় সকাল ও সন্ধ্যায় রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। ঠিকমতো ভাড়া হচ্ছে না। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। এভাবে চলতে থাকলে তো না খেয়ে থাকতে হবে।

অপরদিকে কৃষকরা শঙ্কা করছেন কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে গেলে শীতকালীন ফসল বিশেষ করে আলু ও বীজ তলায় বোরো বীজের চারার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আলু চাষিরা আলু ক্ষেতে কুয়াশা নাশক স্প্রে করছেন। অনেক চাষি বোরো বীজের চারা পলিথিন দিয়ে ঢাকা দিচ্ছেন।

এ ছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় কালবেলাকে জানান, আজ শনিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় তেতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এই মাসে শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। 

Read Entire Article