ক্রেতা সেজে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, সার ডিলারকে জরিমানা
রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া বাজার এলাকায় মজুতের বেশি সার সংরক্ষণ ও ভাউচারের প্রদত্ত তথ্যের সঙ্গে ক্রেতার বক্তব্যের মিল না থাকায় দুই সারের ডিলারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ক্রেতা সেজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহরাব হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন।
এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসনিম, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা তন্ময় কুমার সরকার, উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মজুতের বেশি সার সংরক্ষণ ও ভাউচারের প্রদত্ত তথ্যের সাথে ক্রেতার বক্তব্যের মিল না থাকায় উপজেলার বায়া বাজারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫৬ আইনে ২ সারের ডিলারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে মেসার্স নাহার এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা ও মেসার্স জার্মান আলী ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. সোহরাব হোসেন জানান, কৃষকদের ন্যায্যমূল্যে সার ক্রয়ের সুবিধার্থে বাজারের ওপর কঠোর নজর রাখা হচ্ছে। বেশি দামে বিক্রির তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ধারাবাহিকতায় মজুতের বেশি সার সংরক্ষণ ও ভাউচারের প্রদত্ত তথ্যের সঙ্গে ক্রেতার বক্তব্যের মিল না থাকায় বায়া বাজার এলাকার দুই সারের ডিলারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জরিমানা বিষয়ে তিনি আরও জানান, মেসার্স নাহার এন্টারপ্রাইজকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫৬ আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই আইনে বায়া বাজার এলাকার মেসার্স জার্মান আলী ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর ‘সার ও বীজ নিয়ে চিন্তায় রাজশাহী অঞ্চলের চাষিরা’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই সংবাদের জের ধরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলে সার ডিলারদের সতর্ক করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্রেতা সেজে পবা উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই সার ডিলারকে জরিমানা করল।