ক্লাব বিশ্বকাপ মেসির কাছে দারুণ সুযোগ

2 months ago 53

কী জেতেননি লিওনেল মেসি! সম্ভবত সবই জিতেছেন। বোধ হয়, দলগত-ব্যক্তিগত পর্যায়ে এমন কোনো মর্যাদাবান পদক-সম্মাননা বাকি নেই, যা পাননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। দলীয়ভাবে বিশ্বকাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার লিগ, ফিনালিসিমা, ঘরোয়া লিগ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি'অর, ফিফা প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার, বেস্ট প্লেয়ার, গোল্ডেন বুট, গোল্ডেন বল সবই জিতেছেন।

অন্য কোনো ফুটবলার হলে এত ট্রফি উঁঁচিয়ে ধরতে ধরতেই ক্লান্ত হয়ে যেতেন কিংবা পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে উঠতে নামতেই বিরক্ত হয়ে যেতেন। কিন্তু মেসি তেমন নন। ট্রফি সামনে দেখলেই যেন ঘাড় উঁচু করে তাকিয়ে থাকেন। সুযোগ পেলেই শিরোপার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

এবার মেসির সামনে অপেক্ষা করছে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা। আর্জেন্টাইন তারকার তীক্ষ্ম দৃষ্টি এখন এই গোল্ডেন শিরোপার দিকেই। এমন নয় যে, আগে কখনো ক্লাব বিশ্বকাপ জেতেননি। বরং তিনবার (২০০৯, ২০১১ ও ২০২১৫) ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন মেসি। তবুও তার আরও চাই।

বাংলাদেশ সময় আগামীকাল রোববার সকালে পর্দা উঠবে ক্লাব বিশ্বকাপের ২১তম সংস্করণের। ৩২ ক্লাবের অংশগ্রহণে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে মেসিদের দল ইন্টার মিয়ামি। ঘরের মাঠ হার্ড রক স্টেডিয়ামে সকাল ৬টায় তাদের প্রতিপক্ষ মিশরীয় ক্লাব আল আহলি।

মাঠে নামার আগে ফিফাকে একটি সাক্ষাৎকার দেন মেসি। সেখানে টুর্নামেন্ট সম্পর্কে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করেন ৩৭ বছর বয়সী এ তারকা।

মেসি বলেন, ‘এটা একটি দারুণ প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নিতে পারাটা রোমাঞ্চকর। আমি যখন অন্য দলে খেলতাম, তখন আমার প্রত্যাশা ছিল ভিন্ন। তবে আমি উচ্ছ্বসিত এবং বিশ্বের সেরা দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলার অপেক্ষায় আছি।’

২০২৩ সালে মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর মেসি মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) সাড়া ফেলে দেন। রেকর্ড ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দলকে ‘সাপোর্টারস শিল্ড’ জিতিয়ে দলকে ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অনেকদিন থাকায় মেসি জানেন, আমেরিকান ফুটবলপ্রেমীরা এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের প্রতি কতটা আগ্রহী।

মেসি বলেন, ‘আমি মনে করি, সারা পৃথিবী থেকে অনেক বড় বড় দল আসছে এবং সেটা অনেক মানুষকে আকৃষ্ট করবে। আমরা এমন সব দলের কথা বলছি যাদের দলে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রয়েছে — যাদের খেলা সবাই দেখতে ভালোবাসে। যুক্তরাষ্ট্রে সেরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে খেলা দেখার সুযোগ — এটা সত্যিই অসাধারণ।’

দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোকে একই ট্রফির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা সবার জন্যই বিশেষ কিছু বলে মনে করেন মেসি।

মিয়ামি তারকা ফরোয়ার্ড বলেন, ‘তাদের বিপক্ষে খেলাটা দারুণ সুযোগ ও দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। খেলোয়াড়দের জন্য মাঠে আর দর্শকদের জন্য গ্যালারিতে; সবার জন্যই এটা চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা।’

এমএইচ/জিকেএস

Read Entire Article