মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি ‘খুবই অপমানজনক ও ভয়াবহ মৃত্যু’ থেকে রক্ষা করেছেন। কিন্তু এর জন্য তাকে ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই।
ট্রাম্প শুক্রবার (২৭ জুন) তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, আমি জানতাম তিনি (খামেনি) কোথায় লুকিয়ে ছিলেন। আমি ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীকে তার জীবন শেষ করতে দেইনি।
তিনি আরও লেখেন, আমি তাকে একটি ভয়ানক ও লজ্জাজনক মৃত্যু থেকে রক্ষা করেছি। আর তার জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে না!
আরও পড়ুন>>
- ইরান সংঘাতে যেভাবে হারলো ইসরায়েল
- অনেক চেষ্টা করেও খামেনিকে হত্যা করতে পারেনি ইসরায়েল
- ইরান ‘সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছে’, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এর আগে বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে খামেনি বলেছিলেন, ‘আমরা আমেরিকার মুখে একটি কঠিন চপেটাঘাত করেছি।’ তার এই মন্তব্যের পরই ট্রাম্পের পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসে।
শনিবার তেহরানের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানি শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের জানাজায়। তবে এই সময়েও খামেনিকে দেখা যায়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন ছিলেন বিজ্ঞানী ও ১০ জন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা। প্রথম দিনের ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আইআরজিসির মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি এবং আইআরজিসি কমান্ডার হোসেইন সালামি।
জানাজায় অংশ নেন প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, কুদস ফোর্সের প্রধান এসমাইল কানি এবং খামেনির উপদেষ্টা আলী শামখানি। শামখানি যুদ্ধে আহত হওয়ার পর এই প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছেন। তিনি লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটছিলেন।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতে ইরানে অন্তত ৬১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জন শিশু ও ৪৯ জন নারী। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৭০০ জনের বেশি।
ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ২৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৪৩ জন।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
কেএএ/