খিটখিটে মেজাজ দূর করার ৭ সহজ উপায়

1 day ago 5

আমরা সবাই কোনো না কোনো সময় রেগে যাই। কারও একটু কথায়, কারও একটা কাজ দেখে বা স্রেফ নিজের মন খারাপ থাকলেই যেন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।

মেজাজ খারাপ হওয়া স্বাভাবিক হলেও বারবার রেগে যাওয়া বা খিটখিটে থাকা কিন্তু শরীর-মন, এমনকি সম্পর্কের ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই সময় থাকতেই এই বদমেজাজকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

আরও পড়ুন : চোখের নীরব বিপদ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি

আরও পড়ুন : এক মাসে কতটা ওজন কমানো নিরাপদ, জানালেন চিকিৎসক

নিচে এমন কিছু সহজ উপায় দেওয়া হলো, যা আপনার রাগ বা বিরক্তি দূর করতে দারুণ কাজ করবে।

১. চুপ থাকুন, শান্ত থাকুন

রেগে গেলে চুপ থেকে নিজেকে একটু সময় দিন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকলে ভুল কম হয়। কারণ রাগের মাথায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে।

২. সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না

সব কথা মন থেকে নিতে নেই। কেউ রেগে গিয়ে কিছু বলে ফেললে, সেটাকে গায়ে না মেরে এড়িয়ে যান। না দেখার ভান করাই অনেক সময় শান্ত থাকার বেস্ট উপায়।

৩. ভালো ঘুম দিন

ঘুম কম হলে শুধু শরীর নয়, মনের ওপরও খারাপ প্রভাব পড়ে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম হলে মন থাকে ফ্রেশ, বিরক্তি কমে যায়।

৪. ভালো খাওয়া, ভালো থাকা

পুষ্টিকর খাবার খাওয়া শুধু শরীর নয়, মনকেও ভালো রাখে। বিশেষ করে ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ খাবার (যেমন ডিম, দুধ, বাদাম) খেলে মন শান্ত থাকে।

৫. মন ভালো রাখার চেষ্টা করুন

নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলুন, মজা করে সময় কাটান, বই পড়ুন, গান শুনুন—যা কিছু আপনার মন ভালো করে, তাই করুন। আপনি যেটাতে আনন্দ পান, সেটাকেই সময় দিন।

৬. ভবিষ্যতের কথা ভাবুন

সাময়িক রাগ বা খারাপ মুডের বদলে বড় স্বপ্ন নিয়ে ভাবুন। ৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান—এই ভাবনা আপনাকে রেগে থাকা থেকে দূরে রাখবে।

৭. প্রকৃতির কাছাকাছি যান

বাইরে একটু হাঁটতে যান, গাছের ছায়ায় বসুন, নদীর পাড়ে সময় কাটান। প্রকৃতি মনকে অদ্ভুতভাবে শান্ত করে। চাইলে একা কিছুদিন প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটিয়ে আসতে পারেন।

আরও পড়ুন : দাঁতে দাগ? জেনে নিন দূর করার ৬ ঘরোয়া উপায়

আরও পড়ুন : খেলাধুলা নয়, রিলেশনশিপ কৌশলের নাম বেঞ্চিং

রাগ, হতাশা বা খিটখিটে মেজাজ হঠাৎই আসতে পারে। কিন্তু সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়—আপনার হাতেই। তাই ধৈর্য রাখুন, একটু থামুন, নিজেকে সময় দিন। আর মনে রাখুন, মন ভালো থাকলে জীবনও অনেক সহজ লাগে।

Read Entire Article