নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের খুলনা মহানগরের সহসভাপতি রনবীর বাড়ই সজলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসানের আদালতে হাজির করা হলে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এ সময় সজলকে বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খালিশপুর থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইন-১৯০৮ মামলায় শনিবার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের খুলনা মহানগরের সহসভাপতি রনবীর বাড়ই সজলকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হয়। আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং ডিম নিক্ষেপ করেন। তাকে মেট্রোপলিটন গারদখানায় নামানোর সময় বিক্ষুব্ধরা কিল-ঘুষি মারেন।
এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে বাগেরহাটের মোংলার খাসেরডাংগা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নগরীর সাতরাস্তা, ময়লাপোতা মোড়সহ একাধিক স্থানে ছাত্রদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেন সজল বাড়ৈ। খুলনার ছাত্রলীগের সভাপতির ছোট ভাই হওয়ায় এমনিতেই প্রভাবশালী ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের হুমকি এবং লাঞ্ছিত করা ছিল সজলের প্রধান কাজ। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর তার বিরুদ্ধে খুলনা মহানগর ও জেলার পাঁচ থানায় হত্যাসহ ৭টি মামলা হলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি।
খালিশপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর খালিশপুর থানা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের হয়। যুবদল খুলনা মহানগর শাখার যুগ্ম সম্পাদক ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শেখ নুরুল ইসলাম মামলাটি করেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুর ১২টায় রনবীর বাড়ৈ সজলকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিন জামিন এবং রিমান্ডের আবেদন কোনো পক্ষই করেনি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপির) গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তৈমুর আলম কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের খুলনা নগরের সহসভাপতি রনবীর বাড়ৈ সজলের বিরুদ্ধে নগরীর সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও খুলনা সদর থানায় পাঁচটি মামলা এবং জেলার বটিয়াঘাটা থানায় একটি হত্যা ও রূপসা থানায় একটি মারামারির মামলা রয়েছে।