খেলাপি ঋণের অর্ধেকই উৎপাদনমুখী শিল্পে, বাড়ছে অন্য খাতেও

6 hours ago 5

দেশের ব্যাংকখাত এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি। এই খাতে সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি করেছে খেলাপি ঋণ। এই ঋণ এখন আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় বোঝা। আর ঋণ খেলাপির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চামড়া, তৈরি পোশাক, বস্ত্র, জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙার মতো উৎপাদনমুখী শিল্প।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট (২০২৪) অনুযায়ী, দেশের মোট বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা এখন খেলাপি। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি খেলাপি ঋণই উৎপাদনমুখী শিল্পখাতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। খেলাপির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকখাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৩ কোটি এবং খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২ লাখ ১২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা, যা ঋণ বৃদ্ধির প্রায় সমান হারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশের উৎপাদনমুখী শিল্পখাতেই ঋণের সর্বোচ্চ অংশ মোট ৪৯ দশমিক ২৮ শতাংশ বিতরণ হয়েছে। কিন্তু উদ্বেগজনকভাবে এ খাতেই খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ। যেখানে ২০২৪ সালে মোট খেলাপি ঋণের ৪৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ এ খাতে হয়েছে। ২০২৩ সালে একই খাতে মোট ঋণের ৫০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বিতরণ করা হলেও সে সময়েও খেলাপি ঋণের হার ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালে মোট খেলাপি ঋণের ৫৪ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল উৎপাদনমুখী শিল্পখাতে। এ থেকে স্পষ্ট, উৎপাদন খাতে ঋণ বিতরণ ও খেলাপি ঋণের উচ্চ প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যমান এবং তা এখন আরও গুরুতর রূপ নিয়েছে।

তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের চিত্রও একইরকম উদ্বেগজনক

রপ্তানি আয়ের প্রধান অবলম্বন তৈরি পোশাক খাত এখন চরম ঋণ খেলাপির চাপে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এ খাতে মোট ঋণ বিতরণ হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

তুলনামূলকভাবে ২০২৩ সালে একই খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ছিল ২২ হাজার ৭০২ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে তৈরি পোশাক খাতে খেলাপি ঋণ ২৫ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা বেড়েছে, যা ঋণ বৃদ্ধির চেয়েও বেশি হারে বেড়েছে এবং খাতটির আর্থিক ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।

খেলাপি ঋণের অর্ধেকই উৎপাদনমুখী শিল্পে, বাড়ছে অন্য খাতেও

এদিকে, বস্ত্র বা টেক্সটাইল খাতের চিত্রও একইরকম উদ্বেগজনক। ২০২৪ সালে টেক্সটাইল খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ১৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৬ হাজার ৫২০ কোটি টাকা বা ২৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ খেলাপি। অথচ ২০২৩ সালে এ খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার ২০১ কোটি এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

চামড়া ও জাহাজ নির্মাণ-ভাঙা শিল্পে ঋণ খেলাপির ভয়াবহ বিস্তার

একসময় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত হিসেবে বিবেচিত চামড়া শিল্প এখন নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ধ্বংসপ্রায়। ২০২৪ সালে এ খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ৫ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা এখন খেলাপি। অথচ এক বছর আগে, ২০২৩ সালে, এ খাতে ১৩ হাজার ২৪২ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা, যা এ খাতের অস্থিতিশীলতার প্রকট প্রতিচ্ছবি।

অন্যদিকে, জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙা শিল্পের পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। ২০২৪ সালে এ খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, যার ৩৯ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ৮ হাজার ৩১ কোটি টাকা খেলাপি হয়েছে। শতাংশের হিসাবে এটিই সব শিল্পের মধ্যে সর্বোচ্চ খেলাপির হার। ২০২৩ সালে এ খাতে বিতরণ করা ঋণ ছিল প্রায় ২০ হাজার ৯২ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ছিল ৩ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৪ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা, যা স্পষ্ট করে দেয় যে এ খাতও দ্রুত অবনতির পথে।

কৃষিভিত্তিক ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পখাত

২০২৪ সালে কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৭ হাজার ২১ কোটি টাকা খেলাপি, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। অথচ এর আগের বছর ২০২৩ সালে এ খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৬০০ কোটি এবং খেলাপি ছিল ৮ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা, অর্থাৎ ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। ফলে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৮ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা, যা এ খাতে অর্থনৈতিক চাপের ইঙ্গিত দেয়।

অন্যদিকে, দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প (এসএমই) খাতেও ঋণ খেলাপি উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ২০২৪ সালে এ খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৬ হাজার ১৫১ কোটি, যার মধ্যে ১৬ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা এখন খেলাপি। শতাংশের হিসাবে যা ২৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ—খুবই উদ্বেগজনক। অথচ এক বছর আগে ২০২৩ সালে একই খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৩ হাজার ৩০৫ কোটি, খেলাপি ছিল মাত্র ৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। ফলে এক বছরের ব্যবধানে এসএমই খাতে খেলাপি ঋণ ৮ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ এ খাতটি স্থানীয় অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান ও আয়বৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত।

ওষুধ ও বৃহৎ শিল্পে খেলাপি ঋণ

উৎপাদনমুখী শিল্পের মধ্যে অন্যতম খাত ওষুধ শিল্প। ২০২৪ সালে এ খাতে বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, যা মাত্র ১ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০২৩ সালে এ খাতে বিতরণ করা ঋণ ছিল ১৯ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা এবং খেলাপি ঋণ ছিল ৫৬৫ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৫৩ কোটি টাকা।

এছাড়া উৎপাদনমুখী অন্যান্য বৃহৎ শিল্পে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের আওতায় রয়েছে, যা মোট ঋণের ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সেই তুলনায় ২০২৩ সালে এ খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৩১ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৭৯১ কোটি বা মোট ঋণের ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। ফলে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা।

কনস্ট্রাকশন ও গৃহখাতে ঋণ বিতরণ এবং খেলাপি

কনস্ট্রাকশন খাতে ২০২৪ সালে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৪৮৭ কোটি, যা মোট ঋণের ২৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সেই তুলনায় ২০২৩ সালে কনস্ট্রাকশন খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার ৮২১ কোটি এবং খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ৭ হাজার ৬৮ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ফলে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৯ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, গৃহঋণ বা হাউজিং ফাইন্যান্স খাতে ২০২৪ সালে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৪ হাজার ৩৬১ কোটি, যার মধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০২৩ সালে এ খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ১৮২ কোটি এবং খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ। ফলে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হন না। তারা যখন আর্থিক সংকটের কারণে ব্যবসা চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হন, তখনই খেলাপিতে পরিণত হন। তবে সংকটকালে যদি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা প্রদান করে, তাহলে সেই উদ্যোক্তারা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন। আর্থিক খাতের সমর্থন উদ্যোক্তাদের টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি দেশের ব্যাংকখাতকেও খেলাপিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

ব্যবসা-বাণিজ্য খাত

শিল্প উৎপাদন খাতের বাইরে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ রয়েছে ট্রেড অ্যান্ড কমার্স খাতে, যার পরিমাণ ৩ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। এটি মোট খেলাপি ঋণের ২৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অর্থমূল্যে এটি দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা। সেই তুলনায় ২০২৩ সালে ট্রেড অ্যান্ড কমার্স খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল মোট খেলাপির ১২.০৭ শতাংশ বা ৩০ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬৭ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা।

খেলাপি নিয়ে উদ্যোক্তারা বলছেন, খাতভিত্তিক খেলাপি ঋণের যে চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে, বাস্তবে তা আরও জটিল। অনেক ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ বেড়েছে অনিয়ন্ত্রিত ও প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থায়নের কারণে। বিশেষ করে টেক্সটাইল খাতে দেখা গেছে, একটি পুরোনো মিল টেকওভার বা হ্যান্ডওভারের জন্য ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন হলেও সেখানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত উদ্যোক্তারা। এসব ক্ষেত্রে ঋণের বাস্তব চাহিদা ও প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি এবং বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান জাগো নিউজকে বলেন, দেশের বর্তমান ব্যবসায়িক পরিস্থিতি খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতাও এ পরিস্থিতির একটি প্রধান কারণ। উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা না পেলে তারা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারছেন না, ফলে অনেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারেও অস্থিরতা চলছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের রপ্তানি ও উৎপাদনে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গত বছর উৎপাদন কার্যক্রমে দীর্ঘ সময়ের বিঘ্ন, যা আরও লোকসান ডেকে এনেছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।

ফজলে শামীম বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ব্যাংকগুলোর সহযোগিতাই একমাত্র পথ। সঠিক সময়ে সঠিক অর্থায়ন না পেলে খেলাপির পরিমাণ আরও বাড়বে এবং ক্ষতির ভার বহন করতে হবে পুরো অর্থনীতিকেই।

ইএআর/ইএ/এমএফএ/জেআইএম

Read Entire Article