কক্সবাজারের টেকনাফের রাজারছড়া ও কচ্চপিয়া গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ মানবপাচারকারী ও ডাকাত চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি। এ সময় মানবপাচার চক্রের হাতে জিম্মি থাকা ৬ ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বিজিবির একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।
আটক ব্যক্তি হলেন, টেকনাফ রাজারছড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হোছনের ছেলে মো. রুবেল (২০)।
উদ্ধার হওয়া ভিকটিমরা হলেন- টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ মাঝেরপাড়া এলাকার জিয়াবুল হোসেনের ছেলে রাসেল (১৭), রামু খুনিয়াপালং এলাকার মো. সুলতানের পুত্র শাহরিয়াজ ইমন (১৯) উখিয়া জালিয়াপালং মনখালি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকের পুত্র মো. ফয়সাল (১৭), মনখালির মো. ইলিয়াসের পুত্র মো. এহসান (১৬), বালুখালি ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসিম উল্লাহর পুত্র নজিম উল্লাহ (১২), একই ক্যাম্পের জাফর আলমের পুত্র শহিদুল আমিন (১৫)।
আটক হওয়া মানবপাচারকারী ও ডাকাত চক্রের সদস্য মো. রুবেল
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের রাজারছড়া ও কচ্ছপিয়া গহীন পাহাড়ে অভিযান চালায় বিজিবি। এ সময় অস্ত্রধারী মানবপাচার ও ডাকাতদল চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে চারটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। অভিযান চলাকালে মানবপাচার চক্রের হাতে বন্দী ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারদের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা ও চারজন বাংলাদেশি নাগরিক।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার জড়িতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
উদ্ধার ভিকটিমরা জানান, মানব পাচারকারী ও ডাকাতদলের এই সদস্যরা দালাল চক্রকে ব্যবহার করে কৌশলে রাজমিস্ত্রীর কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে নিয়ে গহীন পাহাড়ে জিম্মি করে রাখেন। পরে তারা জনপ্রতি ৩ লাখ ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না দিলে জোরপূর্বক সাগরপথে ট্রলারের মাধ্যমে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে তাদের আস্তানায় আটকে রাখেন। বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করার কারণে আমরা তাদের জিম্মি দশা থেকে মুক্তি হতে পেরেছি।
জাহাঙ্গীর আলম/কেএইচকে/এমএস