রিশাদকে কেন সুপার ওভারে ব্যাটিং করানো হলো না?

3 hours ago 8

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা শেষে বাংলাদেশের ভক্ত ও সমর্থকদের একটাই প্রশ্ন, `যে রিশাদ এ ম্যাচে ১৪ বলে ৩ ছক্কায় ৩৯ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিলেন, তাকে কেন সুপার ওভারে ব্যাটিংয়ে নামানো হলো না?‘

দুই ম্যাচে ব্যাট চালনায় তারচেয়ে অনেক নিষ্প্রভ ও স্লথ ব্যাট করা সৌম্য সরকার এবং নাজমুল হোসেন শান্তকে কেন ব্যাটিংয়ে নামানো হলো? এই আক্ষেপেই পুড়ছেন ভক্তরা।

মঙ্গলবার রাতে খেলা শেষে প্রেস কনফারেন্সেও উঠলো সে প্রশ্ন, কেন রিশাদকে ব্যাটিংয়ে নামানো হলো না? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সৌম্য সরকার বলেন, `সেটা কোচ ও ক্যাপ্টেনই ভাল বলতে পারবেন। তারাই প্ল্যান করেছেন। তবে সম্ভবত আকিল বাঁ-হাতি স্পিনার দেখেই আমাকে ও শান্তকে ট্রাই করানো হয়েছে‘- দাবি শান্তর।

বলার অপেক্ষা রাখে না, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের আগে কখনো কোন ম্যাচ টাই হয়নি। তাই সুপার ওভার খেলারও অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিন্তু একটি সুপার ওভার খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেটা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। গত বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে। ওই ম্যাচে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল ক্যারিবীয়দের। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অভিজ্ঞতা না থাকার পরও আজ সুপার ওভারে জেতার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের।

শেষ ওভারে ৬ বলে দরকার ছিল ১১ রান; কিন্তু ক্যারিবীয় স্পিনার আকিল হোসেন একটি নো আর দুটি ওয়াইড বল করলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা পান ৯ বল খেলার সুযোগ। ৯ বলে ১১ করা মোটেই কঠিন কাজ নয়। আর নো বলের সুবাদে ফ্রি হিটের সুযোগও মিলেছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশ পারেনি। সৌম্য সরকার নিজে ফ্রি-হিট কাজে লাগাতে পারেননি। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। সেটা কি ব্যর্থতা নয়?

সৌম্য অকপটে স্বীকার করেছেন, `হ্যাঁ সেটা আমার ফেইলিয়র। আমিই পারিনি। ‘

সৌম্য স্বীকার করেছেন উইকেট সহজ ছিল না। `এ উইকেটে ছক্কা হাঁকানোও ছিল বেশ কঠিন। উইকেটের কারণে বিগ হিট নেয়া মানে ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকানো অনেক কঠিন ছিল। ‘

তো এটা বোঝার ও জানার পরও ছক্কা হাঁকানোর চেয়ে ডাবলস নিয়ে আগানো যেত না? এমন প্রশ্ন উঠলে সৌম্যর জবাব, `আসলে সুপার ওভারে খেলার অভিজ্ঞতাই ছিল না। আমরাও অত ভেবে-চিন্তে ব্যাট করতে পারিনি। সেটা আগামীতে এমন পরিস্থিতির উদ্রেক ঘটলে হয়ত এ অভিজ্ঞতা কাজে দেবে। ‘

এআরবি/আইএইচএস

Read Entire Article