ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার মানুষের জন্য আজ রোজা রাখছেন বিশ্বের ৫০টি দেশের ১৫০ জন আলেম। এ ছাড়া রোজা রাখার সুন্নতকে পুনর্জীবিত করার জন্যও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার।
তুর্কির সংবাদমাধ্যম ইয়ানি সাফাকের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) তুরস্কে একটি সম্মেলনের জন্য জড়ো হয়ে তারা এ সিদ্ধান্ত জানান।
সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আলী আল-কারদাঘি বলেন, ৫০ দেশের ১৫০ জন আলেম সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আলী আল-কারদাঘি আরও বলেন, ১৫০ জনের সবাই বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রোজা রাখবেন। তিনি উল্লেখ করেন, গাজার মানুষকে দখলদাররা ইচ্ছাকৃতভাবে অভুক্ত, তৃষ্ণার্ত রেখেছে। তাদের কারণে গাজার মানুষ আজ ক্ষুধার্থ থাকছে। রোজা রাখার মাধ্যমে গাজার মানুষের প্রতি সংহতি জানানো হবে বলে জানান তিনি।
গত ২২ আগস্ট তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মুসলিম বিশ্বের পণ্ডিত ও আলেমদের নিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। এটির মূল্য উদ্দেশ্য গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা এবং সেখানে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য একটি সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সম্মেলনটি শুক্রবার (২৯ আগস্ট) শেষ হবে।
সম্মেলন থেকে বিভিন্ন আহ্বান ও দাবি তুলে ধরেছেন তারা। অবিলম্বে গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জোরালো আবেদন জানানো হয়েছে।
গাজায় পর্যাপ্ত খাদ্য, পানীয়, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী পৌঁছানোর জন্য মানবিক করিডোর খুলে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা। মুসলিম উম্মাহকে গাজার জনগণের পাশে থাকার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের নেতাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) অধীনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।