যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ফিলিস্তিনিদের আফ্রিকার অশান্ত দেশ দক্ষিণ সুদানে পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনা করছে ইসরায়েল ও দক্ষিণ সুদান। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে তিনটি সূত্র এমন তথ্য জানিয়েছে। তবে এই প্রস্তাব দ্রুতই প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।
সূত্রগুলো জানায়, এখনো কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি, তবে ইসরায়েল ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে এ নিয়ে আলাপ চলছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে প্রায় দুই বছরের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে মানুষকে এমন একটি দেশে পাঠানো হবে, যেখানে বহু বছর ধরে রাজনৈতিক ও জাতিগত সহিংসতা চলমান।
আরও পড়ুন>
- পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা: দাফনের মতো লোকও নেই এক গ্রামে
- বোমারু বিমান দিয়ে ট্রাম্প কি পুতিনের কাছে শক্তি প্রদর্শন করলেন?
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্রও পরিকল্পনা নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে বলেছেন, আমরা ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলাপ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলি না।
সম্প্রতি নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় তিনি সামরিক নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘায়িত করতে চান। তিনি বারবারই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছায় এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। তবে আরব ও বিশ্ব নেতারা গাজার মানুষদের অন্য দেশে পাঠানোর ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফিলিস্তিনিরা এটিকে নতুন এক নাকবা হিসেবে দেখছেন—১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে যেমন লাখো মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।
সূত্রগুলোর দাবি, গত মাসে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মান্ডে সেমায়া কুম্বার ইসরায়েল সফরের সময় বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। যদিও দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এ ধরনের প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়।
প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেন, আমাদের জনগণকে দক্ষিণ সুদান বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার যে কোনো পরিকল্পনা আমরা প্রত্যাখ্যান করি। একই অবস্থান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয়ও। তবে হামাস এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে ইসরায়েলের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারন হাসকেল জানান, আলোচনার মূল বিষয় ছিল কূটনৈতিক সম্পর্ক, বহুপাক্ষিক সংগঠন ও দক্ষিণ সুদানের মানবিক সংকট, গাজা থেকে ফিলিস্তিনি সরিয়ে নেওয়া নয়।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম