গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশিত পরিসংখ্যানের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি
ব্রিটেনের চিকিৎসা সাময়িকী ল্যান্সেট জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধের প্রথম নয় মাসে নিহতের যে সংখ্যা ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে বাস্তবে এ সংখ্যা তার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় যে পরিমাণ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি বাস্তবে তার থেকেও অনেক বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার চিকিৎসা বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার জনসংখ্যার প্রতি ৩৫ জনের একজন গত জুলাই মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত নিহত হয়েছে, যা সেখানকার মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই দশমিক নয় শতাংশ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৮৭৭ জন। কিন্তু ল্যান্সেটের গবেষণা বা তদন্ত অনুযায়ী গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সর্বমোট সংখ্যা প্রায় ৬৪ হাজার ২৬০ জন, যা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
গাজায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে এই গবেষণা চালিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষকদের একটি দল। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ ৫৯ শতাংশ। এছাড়া হাজার হাজার ব্যক্তি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকায় তাদের নিখোঁজের মধ্যে ধরা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় একই সময়ে আহতের সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। আরও বিপর্যয়ের বিষয় হলো, ইসরায়েলের হামলায় লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাবার, পানি এবং চিকিৎসার মতো মৌলিক পরিসেবাগুলোর অভাবে মৃত্যু হচ্ছে অনেক মানুষের।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এক বছর ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অব্যাহত হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। ইতিহাসের অন্যতম বড় নারকীয় হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী হচ্ছে বিশ্ববাসী।