গার্মেন্টস কর্মী হত্যা, আ.লীগ নেতা জাহাঙ্গীর দুই দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর আদাবর থানা এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী মো. রুবেল (১৮) হত্যা মামলায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালত আসামির দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, জাহাঙ্গীর আলম এই মামলার তদন্ত প্রাপ্ত আসামি। ঘটনার দিন তাকে আদাবর থানাধীন এলাকায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে কাজ করেছিলেন। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ পূর্বক গ্রেপ্তার, ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রাপ্তির উৎস, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামিদের সনাক্ত, ঘটনার অন্য পরিকল্পনাকারীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ এবং জড়িত সব আসামির সুনিদিষ্ট ভূমিকাসংক্রান্তে সুস্পষ্ট তথ্য উদঘাটনের জন্য আসামির সাত দিনের রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময়ে গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১ টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন গত ৭ আগস্ট রুবেল মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।