গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের সুসংবাদ দিলেন ট্রাম্প
অভিবাসন ইস্যুতে কঠোরতার মধ্যে নতুন সুসংবাদ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্প ট্রাম্প। তিনি জানান, এখন থেকে গ্রিন কার্ড তথা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদায় সমন্বয়ের জন্য আবেদনকারীদের করোনোর টিকার সনদ দেখাতে হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসনসংক্রান্ত পরিষেবা ইউএসসিআইএসের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈধ স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদায় সমন্বয়ের জন্য আবেদনকারীদের এখন থেকে আর করোনার টিকার প্রমাণ হিসেবে কোনো ধরনের নথি জমা দিতে হবে না। এ ধরনের বাধ্যবাধকতা মওকুফ করা হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়ার পরিধি বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। দুই বছর বা তার বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের প্রমাণ দেখাতে না পারা অভিবাসীরা এর আওতায় পড়বেন।
এদিকে প্রেসিডেন্টসিয়াল নির্বাচনের প্রচারণায় নেমে সেই ২০১৫ সাল থেকেই জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের আওয়াজ তুলেছিলেন ট্রাম্প। ওই সময় একটি পলিসি পেপারে তিনি বলেছিলেন, অবৈধ অভিবাসনের সবচেয়ে বড় চৌম্বকীয় ক্ষেত্র হচ্ছে এই জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব। ২০২৩ সালে একটি ভিডিওতে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, গর্ভাবস্থার শেষ কয়েক সপ্তাহ হোটেলে কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সন্তান জন্ম দেন অভিবাসীরা। এভাবে নাগরিকত্ব বাগিয়ে নেওয়ায় এটিকে তিনি বার্থ টুরিজম বলেও বর্ণনা করেছিলেন।
একবার সন্তান জন্ম দেওয়ার পর স্বজনদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসে এসব অভিবাসীরা। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় চেইন মাইগ্রেশন, যা ফ্যামিলি-বেসড মাইগ্রেশন নামেও পরিচিত। প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এই জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও শেষ পর্যন্ত এমন কিছুই করেননি তিনি। কেননা ওই সময় কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ শুরু হয়েছিল। ট্রাম্প তার পুরো নজর সেই মহামারির পেছনে লাগিয়ে দেন।
জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার এই নিশ্চিয়তাকে হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। তার দাবি, বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ, যেখানে জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সির ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক বলছে, বিশ্বে প্রায় ৪০টি দেশ জন্মস্থান সূত্রে নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।