দেশের শীতপ্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা। তবে গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ,ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। শীতের পরশ ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলের এ জেলার জনপদে। গতকালের তুলনায় তাপমাত্রার মাত্রা কিছুটা বেড়েছে। এমন শীতের মধ্যে ভোর থেকেই কর্মব্যস্ততা দেখা যায় বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষদের। দিনমজুর, পাথর ও চা শ্রমিক, ভ্যানচালকসহ কৃষকরা কাজে বেরিয়েছেন সকাল সকাল।
স্থানীয়রা জানান, ধীরে ধীরে বাড়ছে উত্তরে জেলা পঞ্চগড়ের শীতের মাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হয়। মাঝরাতের পর ভোর পর্যন্ত গায়ে কাঁথা নিতে হচ্ছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। তবে শীতকে কেন্দ্র করে বাজারগুলোতে ভাপা, চিতুয়া,পৌকন পিঠা উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে,হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় এখনও সেভাবে শীত না পড়ায় দিনে গরম ও রাতে হালকা শীতের কারণে আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তাহ জিতেন্দ্র নাথ রায় কালবেলাকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।