চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তা কারাগারে

4 hours ago 6

চট্টগ্রামের শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. একেএম সামছু উদ্দিন আজাদের দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তা কিবরিয়া মাসুদ খানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট। ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় ফল জালিয়াতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রামের শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. একেএম সামছু উদ্দিন আজাদ।

মামলায় প্রাক্তন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ ও তার ছেলে নক্ষত্র দেব নাথসহ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার ও প্রাক্তন সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খানকে অভিযুক্ত করে আসামি করা হয়েছে।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৬, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৩৪ ধারা এবং পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৫, ৬, ১২ ও ১৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী মিজানুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

শনিবার (১৫ মার্চ ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাঁচলাইশ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপপরিদর্শক মো. শাহাজাহান।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খান উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করে। উচ্চ আদালত তাকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেব নাথ। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, নক্ষত্র জিপিএ-৫ পেয়েছেন, যা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে। সে সময় নক্ষত্রের বাবা নারায়ণ চন্দ্র নাথ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন।

অভিযোগ ওঠে, প্রভাব খাটিয়ে সন্তানকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দিয়েছেন। এরপর ঘটনা থানা থেকে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নারায়ণ চন্দ্র নাথ। এ বিষয়ে আট সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত। পরে মাউশি ও বোর্ডের আপিলে রিটের আদেশ বাতিল করা হয়। তদন্তে ফল জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হলে গতবছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বোর্ডকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। একই বছরের ২৪ অক্টোবর শিক্ষা বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নক্ষত্রের ফল বাতিল করা হয়।

Read Entire Article