চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক নজর রাখছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে এবং সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখছে মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে এবং সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে।
এতে বলা হয়, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলো হলো- শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যারা আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে এ কমিটি কাজ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে বলা হয়, বাকৃবি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, চবি-বাকৃবিসহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইউজিসির কাছে প্রস্তাব চাওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য প্রয়োজনীয়তা যাচাইপূর্বক সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমের প্রস্তাব প্রেরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ হতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এএএইচ/এমএএইচ/এএসএম