চবি-বাকৃবিতে হামলার ঘটনায় শেকৃবিতে বিক্ষোভ মিছিল

3 hours ago 5

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ছাত্রদল ও বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৩১ আগষ্ট) রাত প্রায় ৯টার দিকে শাখা ছাত্রদল ও রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে দুটি পৃথক বিক্ষোভ মিছিল হয়। কেন্দ্রঘোষিত প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই মিছিল করে শেকৃবি ছাত্রদল।

এদিন রাত ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের সামনে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে তারা বিজয়-২৪ হল, ভিসির বাসভবনসহ আবাসিক ভবনগুলো প্রদক্ষিণ করেন। এসময় তারা ‘চবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দাও’, ‘বাকৃবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দাও’, ‘ছাত্রদের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এদিকে রাত ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেটে জড় হতে থাকেন শেকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিজয়-২৪, ভিসির বাসভবনসহ পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এসময় তারা ‘ছাত্রদের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘আমার ভায়ের রক্ত ঝরল কেন, সেনাবাহিনী জবাব দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এবিষয়ে শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, বাকৃবিতে বহিরাগতদের হামলা ও চবিতে যেভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে এসে এখন শিক্ষার্থীদের জীবন শঙ্কার মুখে। এসময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন, ঘটনার কারণ ও জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করার দাবি জানান।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল শেষে শেকৃবি শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, যে পুলিশ, সেনাসদস্য ও শিক্ষকরা গত বছর চলমান বর্বরতাকে সমর্থন দিয়েছিলেন, সেরকম কিছু পুলিশ ও সেনা সদস্য এবং দানবরূপী শিক্ষকরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তারা যখনই সুযোগ পান, হয় নিজেরা রক্ত ঝরান, না হয় রক্ত ঝরতে দেখে আনন্দ পান। তারা ভেবেছেন, ছাত্র সমাজ ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু আজকের এই ২০-৩০ জন সামনে হাজার জনে পরিণত হয়ে তাদের অপশাসনের অবসান ঘটাবে।

সাইদ আহম্মদ/এসএএইচ

Read Entire Article