বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সেবার মূল্য পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন আর নিতে হবে না। এখন থেকে নির্দিষ্ট শর্ত মেনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সরাসরি অর্থ পাঠাতে পারবে।
রোববার (৩১ আগস্ট) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যান্ডউইথ কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে কিছু নথি যাচাই করে অর্থ ছাড় করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে-উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স, বিদেশি পক্ষের সঙ্গে চুক্তির কপি, বিটিআরসি ও অন্যান্য সংস্থার অনুমোদন, কর কর্তৃপক্ষের সনদ, ইনভয়েস এবং নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী। ব্যাংকগুলোকে এসব নথি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উপস্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নবিরোধী নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
এ ছাড়া বিদেশি আমদানিকারক ও ঠিকাদারের অনুকূলে পারফরম্যান্স বন্ড বা গ্যারান্টি ইস্যুর ক্ষমতাও ব্যাংকগুলোকে সাধারণ অনুমোদনের আওতায় দেওয়া হয়েছে। ফলে স্থানীয় রপ্তানিকারক ও সাব-কন্ট্রাক্টরের পক্ষে গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ সিদ্ধান্তে রপ্তানি বাণিজ্য সহজ হবে, প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আসবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে সহায়ক হবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন নির্দেশনার ফলে সময় ও জটিলতা দুটোই কমবে। বিশেষ করে ব্যান্ডউইথ সেবার মূল্য পরিশোধে আর বিলম্ব হবে না, যা আন্তর্জাতিক লেনদেনকে আরও সহজ করবে।
ইএআর/এনএইচআর/এমএস