চাঁদপুরের কচুয়ায় তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থী সামিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আট শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে তদন্ত সাপেক্ষে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহার ইয়াসমিন।
এ ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষকরা হলেন- ফারুক হোসেন, জসিম উদ্দিন, সাহিদা আক্তার, সুমি আক্তার, রোকেয়া আক্তার, কাজী শাকিরীন, ফয়েজুন নেছা ও ফাতেমা আক্তার। সহকারী শিক্ষিকা হাফসা আক্তার ওই দিন ছুটিতে থাকায় তাকে বহিষ্কার করা হয়নি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২১ জানুয়ারি সকালে তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে খেলা করছিল প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া। ওই সময় বিদ্যালয় আঙিনায় ময়লার স্তূপে আগুন দেন বিদ্যালয়ের কর্মচারী সুমন মজুমদার। সেখানে খেলার ছলে একটি প্লাস্টিকের বলপেনে আগুন ধরায় আরেক শিক্ষার্থী। দুষ্টুমির ছলে এক পর্যায়ে আগুন সামিয়ার পড়নে থাকা কাপড়ে লাগিয়ে দেয় ওই শিশু। এতে দগ্ধ হয়ে সামিয়ার শরীরের ৭০ ভাগ আগুনে ঝলসে যায়। ঘটনার পর প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাঁচদিন চিকিৎসারত অবস্থায় ২৬ জানুয়ারি মারা সামিয়া আক্তার।
জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ওই বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এটি একটি দুর্ঘটনা। এতে শিক্ষকদের অবহেলা ছিল। এ কারণে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আট শিক্ষককে দায়িত্বে অবহেলার জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। প্রধান শিক্ষক মাসুক হাসানকে বরখাস্তের জন্য বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া সুমন মজুমদার নামের এক কর্মচারীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শরীফুল ইসলাম/আরএইচ/এএসএম